পাতা:পঞ্চনদের তীরে - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পঞ্চনদের তীরে

 চন্দ্রগুপ্তের নত মাথার উপরে দুই হাত রেখে চাণক্য অশ্রুভারাক্রান্ত কণ্ঠে বললেন, “আজ আমার কাঁদতে ইচ্ছা করছে চন্দ্রগুপ্ত! বৎস, সেই দিনের কথা মনে করো! তোমার পিতা যুদ্ধে মৃত, তোমার বিধবা মাতা কুসুমপুরে (পাটলিপুত্রে) নির্বাসিত জীবন যাপন করছেন। গরিবের ছেলের মতো পথে পথে তুমি খেলা ক’রে বেড়াচ্ছিলে, সেই সময়ে তোমার সঙ্গে আমার দেখা। তোমার ললাটে রাজচিহ্ন আর তোমার মুখে প্রতিভার জ্যোতি দেখে তোমার পালক-পিতার কাছ থেকে তোমাকে আমি ক্রয় করি। তারপর জন্মভূমি তক্ষশীলায় নিয়ে এসে তোমাকে আমি নিজের মনের মতো শিক্ষা-দীক্ষা দিই। মৌর্য রাজপুত্র! এইবার তোমার গুরু-দক্ষিণা দেবার মাহেন্দ্রক্ষণ উপস্থিত হয়েছে! আমি চাই ভারতের স্বাধীনতা! আমি চাই অখণ্ড ভারত-সাম্রাজ্য! আমি চাই হিন্দু ভারতবর্ষ! আসন্ন যুদ্ধে তোমার জয় সুনিশ্চিত! এই একটিমাত্র যুদ্ধজয়ের ফলে সারা ভারতবর্ষে আর কেউ তোমার প্রতিদ্বন্দ্বী হ’তে সাহস করবে না, তোমার সামনে খুলে যাবে মগধের দুর্গ-দ্বার। ওঠো বৎস, অস্ত্রধারণ করো!”

১০০