পাতা:পঞ্চনদের তীরে - হেমেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতীয় ভূতক-সৈন্যের (mercenaries) হত্যাকাণ্ডেই তার জ্বলন্ত প্রমাণ পাওয়া যায় ৷ তারা প্রত্যেকে সপরিবারে প্রাণ দিলে, তবু বিদেশী শত্রুর অধীনে চাকরী স্বীকার করলে না! অতএব কাল্পনিক হ'লেও সুবন্ধু প্রভৃতিকে আমরা ঐতিহাসিক ভারতীয় চরিত্র ব’লে গ্রহণ করতে পারি অনায়াসেই। পঞ্চনদের তীরে স্বাধীন ভারতের পুনঃপ্রতিষ্ঠা দেখানোই হচ্ছে আমার মুখ্য উদ্দেশ্য। সেই কারণে, সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের পরবর্তী জীবন দেখাবার প্রয়োজন বোধ করি নি, প্রসঙ্গক্রমে সর্বশেষে দু-চারটি ইঙ্গিত দিয়েছি মাত্র। এই বইখানি কেবল যারা বয়সে বালক তাদের জন্যেই লেখা হ’ল না। পরীক্ষা ক'রে দেখেছি, প্রাচীন ভারতের ইতিহাস সম্বন্ধে এদেশের বয়স্ক পাঠকরাও বালকদের চেয়ে কম অজ্ঞ নন। বইখানি লেখবার সময়ে তাঁদের কথাও বার বার মনে হয়েছে। ইতি— ২৩০।১, অপার চিৎপুর রোড, } বাগবাজার, কলিকাতা শ্রীহেমেন্দ্রকুমার রায়