জন্যে আপনার মতো গণ্যমান্য মহাপুরুষকে সসৈন্যে আসতে হয়েছে কেন সে-কথাটা আমাকে স্পষ্ট ক’রে বললে খুসি হবো।”
—“কোথায় যাচ্ছ তুমি?”
—“মগধে।”
—“কেন?”
—“যবন-সাম্রাজ্যে সুবন্ধু বাস করে না!”
—“তোমার উত্তর সত্য নয় সুবন্ধু! গ্রীকদের বিরুদ্ধে তুমি মহারাজা হস্তীকে আর মহারাজা পুরুকে উত্তেজিত করেছিলে। এইবারে তুমি মগধে গিয়েও বিদ্রোহ প্রচার করতে চাও।”
—“সেনাপতি শশীগুপ্ত, বিদ্রোহ আমাকে আর প্রচার করতে হবে না। আলেকজাণ্ডার এখনো ভারতের মাটি ছাড়েন নি, এরি মধ্যে তো চারিদিকেই উড়ছে বিদ্রোহের ধ্বজা! পুষ্কলাবতীর গ্রীক শাসনকর্তা নিকানর নিহত হয়েছে, কান্দাহারও করেছে বিদ্রোহ ঘোষণা! আপনার অবস্থাও নিরাপদ নয়, তাই আপনি গ্রীক সম্রাটের কাছে সৈন্য-সাহায্য প্রার্থনা করেছেন! কিন্তু নূতন গ্রীক সৈন্য আর আসবে না সেনাপতি, আলেকজাণ্ডার এখন নিজেই কাবু হয়ে পালিয়ে যাবার জন্যে ব্যতিব্যস্ত!”
—“ও-সব কথা আমি তোমার মুখে শুনতে ইচ্ছা করি না। আমি জানি, মহারাজা পুরু যুদ্ধে হেরেছেন বটে, কিন্তু আজও পোষ মানেন নি। তিনি খাপ্ থেকে আবার তরবারি খুলতে চান, আর সেই খবর দেবার জন্যেই তুমি ছুটেছ মগধে! কিন্তু তোমার বাসনা পূর্ণ হবে না।”
সুবন্ধু আবার হাসির ঢেউ তুলে বললে, “আপনি আমাকে বন্দী করতে পারবেন?”
—“সে বিষয়েও তোমার সন্দেহ আছে নাকি? চেয়ে দেখো, আমরা একশোজন!”