পাতা:পঞ্চমখণ্ড প্রভাস - অক্ষয়কুমার রায়.pdf/২৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রভাস খণ্ড । レン অতি মনোরঙ্গে ॥ ক্রীড়াতে নিমগ্ন মন গোপ শিশুগণ । নব নব তৃণ খায় যত ধেনুগণ ॥ গে৷ সকল করিলেন বিষ জল পান । দারুণ বিষ পরসে ত্যজিল পরাণ ॥ সদ্য প্রাণ ত্যাগ করে বিষের জ্বালায় । মৃত গাভী দেখি সবে করে হায় হায় ৷ বিষণ্ণ হইয়া যত গোপ শিশুগণ । জানাইলা বার্তা যথা শ্ৰীমধুসূদন ৷ শুনি জগতের নাথ জীয়ান গোধন । বাচিয়া গোধন দেখে কৃষ্ণের বদন ৷ শ্ৰীকৃষ্ণ কদম্ব তরু উপরে উঠিয়া । কালীয় নাগ উপরে পড়ে লম্ফ দিয়া ॥ শত হাত প্রমাণ উপরে উঠে জল । বিষদ বদনে দেখে বালক সকল ৷ কৃষ্ণেরে দেখিয়া কালী নাগ স্বকোপিত। করিল কৃষ্ণেরে গ্রাস অতি ত্বরান্বিত ॥ তপ্ত লৌহ গ্রাসে যেন নরের মরণ । তেমনি কৃষ্ণেরে গ্রাসে কালিয়দমন ॥ দগ্ধ কণ্ঠনাশ ব্রজরাজ তেজ জলে । প্রাণ গেল বলি কৃষ্ণে উগারিয়া ফেলে ॥ সকল ফণীর ভগ্ন হইল অহীর । লাফ দিয়া মস্তকেতে উঠে যদুবীর । ইহা দেখি রোদন করেন নাগগণ । বিবরেতে কোন জন করে পলায়ন ॥ কান্তের মরণ হেরি যতেক নাগিনী । শ্রীকান্ত নিকটে আইলা করি যোড়পাণি ॥ পুটাঞ্জলি করি কহে বিনয় করিয়া । কৃষ্ণের চরণ ধরি কান্দে বিনাইয়া ॥ পতি শোকে স্বকাতরা নাগিনী একান্ত। বলে দেহী চরণে শরণ রমাকান্ত ॥ স্ত্রীগণের প্রাণাধিক পতি বন্ধু হয়। নিবেদন করি নাথ শুন দয়াময় ॥ না কর নিধন নাথ প্রাণকান্ত