পাতা:পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনচরিত.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ॐर्थ छथा । । Sc গিয়া ডাকাতের হাতে পড়িয়া মৃতপ্ৰায় হইয়াছিলেন। র্তাহার বিশ্বস্ততার পুরস্কারস্বরূপ যে দশ-বিঘা উৎকৃষ্ট ধানের জমী খোরাকীরূপে পুরস্কার পাইয়াছিলেন, উমেশচন্দ্রেরা ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম গ্ৰহণ করাতে জমিদার বাবুরা তাহ পুনগ্ৰহণ করেন। মজিলপুর বালিকাবিদ্যালয় ১৮৫৮ সালে মজিলপুর গ্রামে প্ৰথম প্ৰতিষ্ঠিত হয় । স্কুলটি যখন স্থাপিত হয় তখন ’ গ্রামের ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিতগণ বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধ ছিলেন । শিবনাথের পিতা কিন্তু প্ৰথম হইতেই স্ত্রী-শিক্ষণ বিষয়ে উৎসাহী ছিলেন। তাহার কন্যা ঠাকুরদাসী এবং কবি গিরীন্দ্রমোহিনী এই বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। যখন হইতে ব্ৰাহ্ম যুবকগণ এই বিদ্যালয়ের পৃষ্ঠপোষক হইলেন তখন হইতে জমিদারবাবুরা ইহার বিরুদ্ধাচরণ করিতে আরম্ভ করিলেন যদিও একসময় এই জমিদার বংশীয় হরিদাস দত্তই স্ত্রী-শিক্ষা বিষয়ে উদ্যোগী ছিলেন। পণ্ডিত কালীধন ভট্টাচাৰ্য্য আমৃত্যু এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করিয়াছিলেন। ব্রাহ্ম যুবকগণ হিতৈষিণী সভা স্থাপন করিয়া বালিকাবিদ্যালয়ের জন্য একটী গৃহ নিৰ্ম্মাণ করিবার সংকল্প করিলেন। যখন উমেশ্চন্দ্র এক প্রতিবেশিনী আত্মীয়ার নিকট হইতে একখণ্ড জমি লইয়া স্কুলের বাড়ী নিৰ্ম্মাণ করিবার আয়োজন করিলেন, সেইসময় জমিদারবাবুদিগের দুইজন ভৃত্য-শুকরো মুসলমান ও তাহার পুত্ৰ সেই জমি তাহাদিগের পাট্ট লওয়া বলিয়া নালিশ করিল। বারুইপুরের আদালতে এই মোকদম উঠিল। এই মিথ্যা মোকদ্দমা অনেক চেষ্টা আয়োজন সত্ত্বেও টেকিল না। এবং শুকরো মুসলমানের মিথ্যা মকদ্দমা আনয়নের জন্য তিনমাস সশ্রম কারাবাস হইল। তখন শিবনাথ ভবানীপুরের বাসা হইতে প্রতি রবিবারে শুকরো।