(৮) ডি, এল, রায়ের ‘দুর্গাদাস’, ‘মেবার পতন’, ‘রাণা প্রতাপ’; (৯) ‘ছত্রপতি শিবাজী’—সত্যচরণ শাস্ত্রী; (১০) ‘শিখের বলিদান’—কুমুদিনী বসু; (১১) রাজনারায়ণ বসুর ‘সেকাল ও একাল’; (১২) সত্যেন দত্তের ‘কুহু কেকা’ (কবিতা-গ্রন্থ); (১৩) মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের ‘আত্মজীবনচরিত’; (১৪) ‘রাজস্থান’ (বসুমতী সংস্করণ); (১৫) ‘নব্য জাপান’—মন্মথ ঘোষ; (১৬) ‘সিপাহী যুদ্ধের ইতিহাস’—রজনীকান্ত গুপ্ত; (১৭) উপেনবাবুর ‘নির্ব্বাসিতের আত্মকথা’ ও অন্যান্য পুস্তক; (১৮) ‘কর্ণেল সুরেশ বিশ্বাস’—উপেন্দ্রকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শিশুপাঠ্য তিন আনা সংস্করণের ভারতের অনেক মহাপুরুষের ছোট ছোট জীবনী পাবে।
এই বই-এর তালিকা যথেষ্ট। অন্ততঃ পক্ষে এক বৎসরের খোরাক এর মধ্যে পাবে। প্রাথমিক শিক্ষা সম্বন্ধে কিছু বলি।
প্রাথমিক শিক্ষার সহিত উচ্চ শিক্ষার একটা বড় প্রভেদ এই যে প্রাথমিক শিক্ষায় নূতন facts শিখাবার চেষ্টাই বেশী প্রয়োজন। উচ্চ শিক্ষায় নূতন facts যেরূপ শিখাতে হয় তার সঙ্গে সঙ্গে reasoning faculty-র অনুশীলনও সেইরূপ করতে হয়। প্রাথমিক শিক্ষায় ইন্দ্রিয়-শক্তির উপর বেশী নির্ভর করতে হয়, কারণ তখন চিন্তা করবার বা মনে রাখার শক্তি ভাল রকম জাগে। সেইজন্য কোনও বিষয় শেখাতে গেলে যেমন, গরু, ঘোড়া, ফল, ফুল, সেই জিনিষগুলি চোখের সামনে না ধরলে শেখান মুস্কিল। উচ্চ শিক্ষায় এমন বিষয় বা বস্তু শেখান হয় যা ছাত্র কখনও দেখে নাই এবং ছাত্র সেই বস্তু না দেখেও নিজের চিন্তাশক্তির বলে তা বুঝতে পারে। আর একটা কথা—শেখাবার সময়ে যত বেশী ইন্দ্রিয়ের সাহায্য নেওয়া যায়—তত সহজে শেখান সম্ভব। বাঁশী বা কোনও রকম বাজনা সম্বন্ধে যদি কিছু বোঝাতে চাও— তবে ছাত্র যদি জিনিষটা চোখে দেখে, হাতে স্পর্শ করে এবং বাজিয়ে তার আওয়াজ কানে শোনে, তবে সেই বিষয়ে তার জ্ঞান
২২২