পাতা:পত্রাবলী (১৯১২-১৯৩২) - সুভাষচন্দ্র বসু.pdf/৩৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

জানাবেন, যেন বেশী রাত্রে খাওয়াটা বন্ধ করেন। আমি যে কয়দিন কল্পকাতায় ছিলুম খাওয়াদাওয়া সম্বন্ধে অনিয়ম দেখতুম। আমি নিজে বোধ হয় এত অনিয়ম কখনও করিনি। আর একটা অনুরোধ জানাবেন, যেন সেপ্টেম্বর মাসটা বিশ্রাম করেন। টাকার চেয়ে স্বাস্থ্য বড়—যদিও এখন টাকার খুব বেশী দরকার। তাঁর অবস্থা হচ্ছে যাকে ইংরাজীতে বলে—he cannot afford to get ill—আমার মত তো আর vagabond নন, যে বাঁচলুম কি মরলুম তাতে কিছু এসে যায় না।

 পলি ক্রমশঃ ভাল হচ্ছে—তবে বড় ধীরে ধীরে উপকার হচ্ছে। মিস্ হার্মেন আজ অনেক দিন পরে তাকে দেখে বল্লেন যে বেশ উপকার হয়েছে। এক মাইল আন্দাজ হাঁটাও হয় যেদিন বেড়াতে যাওয়া সম্ভব হয়। তার মনটাও আজকাল ততটা বিমর্ষ নয়—শিশুকে পড়ান নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকে। পলির জন্যে আপনার সমবেদনা দেখে আমি বড় খুশী হয়েছি।

 মা-র হাতের আঙ্গুলটা কষ্ট দিচ্ছে —fomentation দিয়ে বিশেষ উপকার হয়নি। বোধ হয় শেষ পর্য্যন্ত পাকবে।

 বীর আজকাল বিশেষ গোলমাল করে না। ড্রাইভার বরাবরই ঠিক মত কাজ করছে। ছোটখাটো মেরামত গাড়ীতে করতে হয়েছে। তাতে জুন ও জুলাই মাসের বিল ৩০ টাকা দাঁড়িয়েছে। গাড়ী আজকাল ভালই চলছে।

 ফলের পার্শ্বেল আমরা কাল পেয়েছি—মোটর উপর ফলের অবস্থা ভালই। ললিত (ননীর স্বামী) আবার ফলের পার্শ্বেল তাঁর একজন বন্ধু মারফৎ পাঠিয়েছেন—কাল আমরা পেয়েছি।

 আপনি যে কর্ত্তব্যবোধে কলিকাতায় গেছেন—তাতে আমি সুখী হয়েছি। আমি গোড়া থেকেই মনে করেছিলুম যে আপনার এখানে থাকাটা ঠিক হচ্ছে না। তাই আপনাকে বার বার বলেছি এবং মেজদাদাকে লিখেছি—যাতে কোনও প্রকার সঙ্কোচ না বোধ করেন।

৩৩৮