(t e পথের দাবী প্রথম অঙ্ক ডাক্তাব ৷ কথাটা মিথ্যে নয় । তিন চার দিন যখন খাবার জোঁটেন, তখন মনে হয় মানুষ গরু যা পাই ধরি আর গিলি । ভারতী । আচ্ছা দাদা, শুনতে পাই তোমার মান অভিমান নেই, দয়ামায়া নেই, বুকেব ভেতরটা একেবারে পাষাণ দিয়ে গড় ? ডাক্তাব । কে একথা বলে ভারতী ? ভারতী । যেই হোক ; নিশ্চয় বলে । ডাক্তার। সে আমাকে তাহলে সত্যি সত্যিই ভালবাসে । ভারতী । তা বাসে । ডাক্তার। সে আর কি বলে ভাবতী ? ভাবতী। আর বলে তোমাব অস্তরে আছে নাকি মাত্র একটি বস্তু— জননী জন্মভূমি। কেমন করে গেল ? ডাক্তাব। কেমন কবে গেল ! (সায়ের দিকে দৃষ্টি ভাসাইযা ; কই কবি ! একটি বাব ব্যায়লা শোনাও না । শশি বেহালা ঠিক করিতে লাগিল ভাবতী । বল দাদা তা কেমন করে কেলি ? ডাক্তার। সেও এক ছেলেবেলার ঘটনা, ভারতী । ভালতী। দাড়াও দাদা, আমার জায়গাটিতে বসতে দাও । নামিয়া পাযের কাছে বসিল । শশি বেহালা বাজাইতে লাগিল ডাক্তাব । জীবনে কত কি এল, কত কি গেল, কিন্তু সে দিনটি স্মৃতিতে একেবারে অক্ষয় হয়ে রইল ! আমাদেব গ্রামের প্রান্তে বৈষ্ণবদের একটা মঠ ছিল । একদিন রাতে সেখানে পোড়ল ডাকাত। চেঁচা-মেচি কান্নাকাটিতে গ্রামের বহুলোক চারদিকে জড়ো হলো। কিন্তু ভাকাতদের একটা গাদা বন্দুকের ভয়ে কেউ কাছে এগুতে পারলনা । আমার এক
পাতা:পথের দাবী নাটক.djvu/৬১
অবয়ব