পাতা:পথের সন্ধান - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS e পথের সন্ধান লাঞ্ছনা। হিন্দু-মুসলমান ইতার-ভদ্র সকলের হাড়ে হাড়ে বিধেছে, - আর এই দুটাের প্রতিকার চেষ্টা করতে করতেই মহাত্মার নেতৃত্বে ভারতে স্বরাজ এসে পড়বে। অশিক্ষিত জনসাধারণ যখন । বাত্যাবিক্ষুব্ধ-সাগরের মতো চঞ্চল হয়ে উঠেছিল, তখন তাদের অৰ্দ্ধস্ফুট গর্জন শুনে অনেকেই আশায় নেচে উঠেছিলেন, অনেকেই ভেবেছিলেন এটা নেতৃত্বের মাহাত্ম্য, অহিংস আন্দোলনের अiशौकिकझ । নেতৃত্বের মাহাত্ম্য যে এই আন্দোলনের মধ্যে অনেকখানি ছিল, তাতে কারো সন্দেহ নেই ; কিন্তু এর মূলে যে তা ছাড়া আরও অনেক কারণ বৰ্ত্তমান ছিল, তা প্ৰমাণিত হতে বেশী দিন লাগেনি। বিগত ইউরোপীয় যুদ্ধের ফলে এ দেশের অন্ধ জনসাধারণেরও চোখ ফুটতে আরম্ভ করেছিল, তাদের মুক মুখেও ভাষা ফুটেছিল। চারিদিকের দুৰ্ভিক্ষ, মহামারী, অত্যাচার উৎপীড়নের ফলে তারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল । তাই যখন দীনহীন শীর্ণ তপঃক্লিষ্ট মহাপুরুষের মুখ থেকে তেজোগর্ভ আশার বাণী বেরিয়েছিল, যখন তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে এক বৎসরের মধ্যেই তাদের দুঃখ যন্ত্রণার অবসান হয়ে দেশে স্বরাজ প্রতিষ্ঠিত হবে, তখন এই দুৰ্ভিক্ষ-ক্লিষ্ট, মহামারী-পীড়িত, অত্যাচারিত জনসাধারণ উন্মত্ত হয়ে তঁাকে ঘিরে দাড়িয়েছিল। কোটি কণ্ঠে ধ্বনিত ' छ्नछिन्न-*कौ भक्षां दौ उन |° তারপর এমন একদিন এলো যখন এই স্বরাজ কথাটা জনসাধারণের কাছে একটা অর্থশূন্য প্ৰহেলিকা হয়ে দাড়াল।