পাতা:পথের সন্ধান - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২৮
পথের সন্ধান

হাসাচ্ছেন তাঁদের পথ যে বন্ধ হবে, এটাও একটা মন্দ কথা নয়। আর তা ছাড়া প্রতিনিধি নির্ব্বাচনের সময় দেশের মধ্যে স্বরাজের আদর্শ প্রচার করবার যে একটা যথেষ্ট অবসর পাওয়া যাবে—সেইটুকুই লাভ।

 দেশের আসল কাজ কাউন্সিলে নয়, দেশের জনসাধারণের মধ্যে। অহিংস অসহযোগীরা দেশের মধ্যে যে প্রবল ভাবের বন্যা এনেছেন, তাতে তাঁদের কৃতিত্ব অক্ষয় হয়েই থাকবে; দেশকে সংঘবদ্ধ করবার জন্যে তাঁরা যত পরিশ্রম করেছেন এত আর কেউ করেনি। কিন্তু তবুও মনে হয় যে, তাঁদের শিক্ষা দেশ ষোল আনা মেনে নিতে পারবে না। মানুষ যতদিন মানুষ থাকবে ততদিন তার আত্মরক্ষার জন্যে বৈধ হিংসার প্রয়োজনও থাকবে। তাকে সে অধিকার থেকে বঞ্চিত করবার চেষ্টা চিরদিনই ব্যর্থ হবে। অহিংস অসহযোগীরা নিজেদের অধিকার লঙ্ঘন করেছিলেন বলেই বাংলা দেশের ছেলেরা আর তাদের কথায়, তেমন সাড়া দিতে চাচ্চে না। দোষ ছেলেদের নয়।

 আমাদের শেষ কথা এই যে, এত বড় দেশে সব রকম অধিকারীই আছে; সব রকম লোকেরই কাজ করবার জায়গা আছে। সকলকে এক জালে বাঁধবার চেষ্টা কোরো না—জাল ছিঁড়ে যাবে। তুমি তোমার রাস্তা ধরে’ চল; আমি আমার রাস্তা ধরে’ চলি। কেউ বক্তৃতা দাও, কেউ গান শোনাও, কেউ চরকা কাট, কেউবা অন্যকিছু করো। ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য সকলকেই এই পূজায় যোগ দিতে হবে। ক্ষত্রিয়কে বাদ দিয়ে সুধু