পাতা:পথের সন্ধান - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
রাজনৈতিক অধিকার ভেদ
২৭

প্রণালীরই স্থান আছে। তাই নিয়ে মাথা ফাটাফাটি করে’ কোনো লাভ নেই।

 সেদিন চট্টগ্রামের প্রাদেশিক বৈঠকে সভানেত্রী বলেছিলেন যে, হয়ত ভবিষ্যতে আমাদের ব্যবস্থাপক সভায় ঢোকবার দরকার হতে পারে। একজন মস্তবড় নেতা অমনি রায় দিলেন যে ঐ কথাটি বলায় বাঙ্গলা দেশের উঁচু মাথা হেঁট হয়ে গেল! কেন বাপু? রাজনৈতিক বুদ্ধিটা কি তোমাদেরই একচটে সম্পত্তি? না, যাঁরা কাউন্সিলে যাবার কথা তুলেছিলেন তাঁরা ত্যাগে, চরিত্রবলে, স্বদেশ-প্রেমে তোমাদের চেয়ে কিছু কম? কেউ যদি সত্য সত্যই মনে করেন যে, কাউন্সিলে গিয়ে লড়াই করে’ তিনি স্বরাজের রাস্তা পরিষ্কার করতে পারবেন, ত পাঁচজন মিলে তাঁর মুখ টিপে ধরলেই কি খুব বাহাদুরী হবে?

 সত্যকথা বলতে গেলে স্বীকার করতেই হবে, অহিংসা অসহযোগের ফলে ভারত স্বরাজ পাবে কি না এ বিষয়ে অসহযোগীদের মধ্যেও সন্দেহ এসেছে। তাই মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ ও বাংলায় কাজের পন্থা বদলাবার কথা উঠেছে। একদল বলেন, গবর্ণমেণ্টের ভালমন্দ সব প্রস্তাবেই বাধা দিয়ে গবর্ণমেণ্টকে অতিষ্ঠ করে’ তোল; আর-একদল বলেন তা নয়; শুধু দেশের অহিতকর প্রস্তাবগুলোকেই বাধা দাও। আগামী কংগ্রেস কমিটির অধিবেশনে এইসব মতবাদের আলোচনা হবে।

 আমাদের মনে হয় না যে, কাউন্সিলে গেলে বিশেষ কিছু লাভ হবে। তবে এখন যাঁরা দেশের প্রতিনিধি সেজে লোক