পাতা:পথের সন্ধান - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b'8 পথের সন্ধান মজার কথা এই, বারদোলির অনুশাসন প্রচার হবার পর প্রায় এক বৎসর কেটে গেছে, তবু দেশকে সংঘবদ্ধ করবার আয়োজন যে এক পা-ও এগিয়েছে, তার প্রমাণ নেই। অনেকে বলেন কৰ্ম্মীদের মধ্যে উৎসাহের অভাবই তার প্রধান কারণ। কিন্তু উৎসাহের অভাবেরও ত কারণ কাছে।--সেটা কি ? স্বরাজ বলতে যে কি বোঝায়, তা কংগ্রেস এখনও স্পষ্ট করে। বলেননি। বিদেশের সঙ্গে সম্বন্ধই বা কি রকম থাকবে, আর দেশের জনসাধারণের অবস্থাই বা তখন কি হবে, বা হওয়া উচিত, সে-সম্বন্ধেও কংগ্রেস কোনো স্পষ্ট নির্দেশ করেননি। চরকা কেটে । নিজের হাতে খদ্দর তৈরী করে” পরলে কৃষকদের আর্থিক অবস্থা একটু ভালো হবে সন্দেহ নেই। কিন্তু তাদের যে সমস্ত বড় দুঃখকষ্ট, তার অনেকটাই ঘুচুবে না। জমিদার, মহাজন, হয়ত সমানভাবেই তাদের রক্ত চুষতে থাকবে; আর স্বদেশী পুলিশ যে বিদেশী পুলিশের চেয়ে কতখানি ভালো হবে, তাও এখনও জানা নেই। সুতরাং কংগ্রেস এখন যে-পথ ধরে’ গ্ৰাম্য-সমিতিগুলি গড়তে চাইছেন, সে-পথ ধরে’ চললে আইন-ভঙ্গ যে কেমন করে” আরম্ভ হবে তা বোঝা কঠিন। সাধারণ লোকে স্বরাজের সূক্ষ্ম ব্যাখ্যা বোঝে না, তাদের মোটা মোটা দুঃখ-কষ্টগুলো বোঝে। সেগুলো দূর করবার জন্তে আইন-ভঙ্গ করতে রাজী হবে। সেই অভাবগুলো দূর করবার জন্যে যদি তাদের সংঘবদ্ধ করবার চেষ্টা হয়, তাহলে সে-চেষ্টা সফল হতে পারে, আর তাই থেকে আইনভঙ্গও আরম্ভ হতে পারে। কিন্তু যে-আদৰ্শ নিয়ে কংগ্রেস গ্রামে