পাতা:পথের সন্ধান - উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 পথের সন্ধান দেশে এই যে স্বাধীনতার আন্দোলন, ধনী, মধ্যবিত্ত আর দরিদ্র ঐই তিন শ্রেণীর কাছে এর অর্থ ভিন্ন ভিন্ন। LBLBBB BD DB DB BBDDSBDBDD DBBD DBDBDB DDD DD উকিল ব্যারিষ্টার বা সওদাগর-দেশে রাজনৈতিক স্বাধীনতা না থাকায় তাদের ক্ষতি হয়েছে কি ? ইংরেজ রাজত্বের কল্যাণেই তারা ফেপে-ফুলে উঠেছেন, ইংরেজ রাজত্বের সঙ্গেই তঁদের প্রতিপত্তি জড়িত । ইংরেজ তাদের সঙ্গে সমানভাবে ব্যবহার করে না, বা ইংরেজ এদেশে থাকার দরুণ তঁদের প্রভুত্ব যতখানি হতে পারতে ততখানি হয় না, এইটাই তাদের দুঃখ। তঁরা যখন দেশের স্বাধীনতার কথা বলেন, তখন জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে তঁরা নিজেদের দুঃখই দূর করতে চান। তঁদের যে দেশগ্ৰীতি তার মূল হচ্চে নিজেদের আরও একটু প্ৰভুত্বের আকাঙ্ক্ষা। এদেশে যদি উপনিবেশগুলোর মত স্বায়ত্ব-শাসনের কাছাকাছি একটা-কিছু "পাওয়া যায়, আর দেশের শাসনভার যদি এই শ্রেণীর হাতে পড়ে, তা’হলে আর স্বাধীনতার জন্যে এরা কেউ টু শব্দটি করবেন না। এদের স্বাধীনতার ক্ষুধা মিটে যাবে। " তারপর মধ্যবিত্ত শ্রেণীর কথা ধরা যাক। ইংরেজ রাজত্বে দেশের বড় বড় চাকরী পরহস্তগত হয়েছে, ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা নেই ; সুতরাং এই মধ্যবিত্ত শ্রেণী দিন দিন দরিদ্র হয়ে পড়েছে। ইংরেজী শিখে, চাকরী করে” যতদিন এদের পেট ভারতো, ততদিন এর রাজনৈতিক আন্দোলনে খুব বেশী যোগ দেয়নি। এরাই দেশের শিক্ষিত লোক; আত্মসন্মানবোধ এদের অনেকটা আছে।