পাতা:পদ্মপুরাণ - বিজয় গুপ্ত.pdf/২৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rరి পদ্মাপুরাণ। A "a - লোহার বাসরে তােমা দংশিল নাগিনী। তোমা লইয়া আসিলাম সমুদ্রের পানি। কলার মাজুষ চড়ি হইলাম দেশান্তরী। তোমারে জীয়াইলাম। আমি দেব সহায় করি । বেহুলার বচনে লখাইর হরষিত মন। দুই জনে নৃত্য-গীত করয়ে তখন ॥ ধনপতির মৃদঙ্গ কাছিয়া লইল কান্ধে। হাতে তালি দিয়া বেহুলা নাচয়ে সানন্দে ॥ সাত পাত মহাদেব মনে মনে অঁাচে । হাসিয়া বলিল শিব বেহুলা কেন নাচে ৷ বেহুল বলে গোসাঞি তোমার দায় নাই । স্বামী লইয়া নাচি মুই মনসার ঠাই ৷ বেহুলার বচনে শিব চাহে আড় আঁখি। ঘনপাকে নাচে বেহুলা ময়ূরের পাখী ॥ কাহার শক্তি বুঝিতে পারে দেবতার মায়া। বেহুলার মুখ দেখি পদ্মার বাড়ে দয়া ॥ তোমার তরে আইলাম মুই দেবতার সমাজ । লক্ষ্মীন্দর জীয়াইয়া সাধিলাম তোমার কাজ ৷ শিশুকাল হইতে আমা পূজা নিরন্তর } “আপনি সুখে যেই চাহ সেই দিব বর ॥ ছয় ভাসুর জীয়ান। বেহুল বলে মাতা কি কহিব তব পায় ॥ ঘরে রাড়ী আছে মোর জাল জন ছয় ॥ সৰ্ব্ব নষ্ট হইল দুষ্ট শ্বশুরের বাদে ॥ মৈল স্বামী জীয়াইলাম তোমার প্রসাদে ৷ স্বামী লৈয়া দেশে যাব মনে বড় দুঃখ । ছয় রাড়ীর শুনি ফাটিয়া যাবে বুক ॥ অকালে রাড়ীর যৌবনে দিল ডালি। মোর স্বামী দেখিয়া গালি দিবে ছয় রাড়ী তোমার চরণ বিনা আর গতি নাই । शब्रा थांक औशांs भी अङ्गद्ध छद्म डांझे॥ তোমার চরণ বলে আসি এতদূর । কৃপা করে দেও মোরে ছয়টা ভাশুর ৷ এতেক বলিয়া বেহুলা নাচে ঘন পাকে । छांक डाव्या दलि १ष्ट्र शांड, फ्रिल नांक ॥ পদ্মাবতী বলে বুঝিলাম এবে। কপটে মোহিলা তুমি সর্বদেবে। স্বামী জীয়াইতে আসিলা এতদূর । এখন জীয়াইতে চাহ ছয় ভাসুর ॥ অবশ্য করিব তোমার যেবা মনে লয় { শেষে যেন তোর হাতে কাৰ্য্য সিদ্ধি হয় ৷ এত বলি পদ্মাবতী বেহুলারে আশ্বাস দিয়া । গঙ্গার আবাসে দেবী উপস্থিত হইল গিয়া ॥ রত্ন-সিংহাসনে বসিয়াছেন ভাগীরথী। প্ৰণাম করিয়া বসেন দেবী পদ্মাবতী ৷ পদ্মারে জিজ্ঞাসা করে কেন আইলা মাতা । একে একে কহেন দেবী বেহুলার কথা ৷ শুনিয়া বেহুলার কথা দুঃখ উপজিল । চান্দর ছয় পো পদ্মার হাতে আনিয়া দিল ৷ চান্দর ছয় পুত্ৰ দেখি পদ্মার কৌতুক । রথে তুলিয়া আনে দেবী বেহুলার সম্মুখ ৷ সিংহাসনে বসি পদ্মা আড় আঁখি ছয় । চান্দর ছয় পুত্র দাড়াইল ডাইনে বঁায়৷ হাসিয়া বলিল তবে জগৎগৌরী আই । হের দেখ বেহুলা তোমার স্বামীর ছয় ভাই । মনসার চরণে ছয় বীরের বিনয় । লখাই বেহুলার সঙ্গে হইল পরিচয় ৷ ভকত বৎসল দেবী জগতের মাতা । সকল কহিল যত উপজিল কথা ৷ ছয় ভাসুর দেখি বেহুলা হইল লজ্জিত । প্ৰণাম করিয়া বেহুলা হইল এক ভিত ৷