পাতা:পবিত্র আত্মার ফল.djvu/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছিতৈর্ষিতা । 3 & 3) আছে। এক দিন রাখালের কৰ্ম্মে নিযুক্ত রক্তবর্ণ কেশ বিশিষ্ট দশ বৎসর বয়স্ক হৃষ্টপুষ্ট এক বালক পথের পাশ্বে বসিয়া পুস্তক পাঠ করিতেছিল, ইতিমধ্যে মহারাজ দাস ব্যতিরেকে ইতস্ততে ভুমণ করিতে ২ ঐ বালকের সমীপে পৌছিয়া তাহাকে জিজ্ঞাসিলেন, তোমার হস্তে এ কি ? সে কুচ্ছস্বরে বলিল, এ আমার বর্ণমালা । ইহা শুনিয়া রাজা বলিলেন, তুমি কি বানান করিতে জান ? সে বলিল, হা, কিছু ২ পারি। তখন রাজা তাহার পুস্তক লইয়া বলিলেন, অামি এক বার দেখি । পরে ঐ রাজা গুরুস্বরূপ ও বালক শিষ্যস্বরূপ হইলে রাজা বালককে বলিলেন, তুমি কি দুই তিন অক্ষরের শব্দ বানান করিতে পার ? সে বলিল, পারি। পরে রাজা তাহার পরীক্ষা করিয়া সন্তুষ্ট হইয়া কহিলেন, তুমি যেমন বানান করিতে পার, তেমন কি পাঠ করিতেও পার ? তুমি কি পাঠশালায় গিয়া থাক ? তার ধৰ্ম্মপুস্তক কি পাঠ করিতে পার ? বালক উত্তর করিল, অামার মাতা দীনহীন, পাঠশালার বেতন দিতে অক্ষম, সুতরা^ আমার পাঠশালায় যাওয়া হয় না। আর আমাদের যে ধৰ্ম্মপুস্তক আছে তাহ এমত মলিন ও জীর্ণ ও ছিন্নপত্র, যে তাহ। কোন মতে পাঠ করা যায় না। ইহাতে রাজা কহিলেন, এ বড় দুঃখের বিষয় | তোমার মাতার নাম কি ? ও তিনি কোথায় থাকেন ? অনন্তর বালক মাতার নাম ও বাসস্থান বলিলে রাজা পেনসিল দিয়া তাহ লিথিয় লইয়া চলিয়া গেলেন। ইহাতে বালক এক প্রকার । ভগ্নাশ হইল, কারণ সে রাজাকে উত্তম রূপে চিনিল,