পাতা:পরশুরামকুন্ড ও বদরিকাশ্রম পরিভ্রমণ - পদ্মনাথ ভট্টাচার্য্য.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

dጀ፱r বদরিকাশ্ৰম পরিভ্ৰমণ : একটি ক্ষুদ্র মন্দির দেখিলাম। মন্দির মধ্যে একটি যন্ত্রাকারে অঙ্কিত চিত্ৰ দেখিলাম-উহাই নাকি শেষনাগের পীঠ। এখান হইতে লামবাগড়া নামক চটি প্ৰায় ২ মাইল-এবং তথা হইতে হনুমান চাটি ৪ মাইল । হনুমান চটির এই পথটি বড় সুবিধাজনক নহে-চড়াই উৎরাই অধিক না হইলে ও বড় কদৰ্য্য। পথে একটী স্থানে অলকানন্দার জলপ্রপাতের যে মনোহর দৃশ্য দেখিয়াছি-জীবনে তাহা ভুলিতে পারিব না । ঈষৎ ঢালু হইয়া উচ্চ চাইতে পতিত প্ৰস্তরাহত ফেনিল ও ইতস্ততঃ কুসুমস্তবকা কারে বিক্ষিপ্ত সলিলরাশি কি অনির্বাচনীয় শোভা ধারণ করিরাছে । তদুপরি সূৰ্য্যরশ্মি পতিত হইয়া উদ্বোদগত জলকণাগুলিতে রামধনুর সৃষ্টি করিয়া ঐ শোভা শতগুণে বৰ্দ্ধিত করিয়াছে। এই নয়ন তৃপ্তিকর দৃশ্যের সঙ্গে সঙ্গে কর্ণের আরামদায়ক গুরুগম্ভীরধ্বনি উখিত হইতেছে ; যেন প্রকৃতির রঙ্গালয়ের নেপথ্যে যুগপৎ শত শত মৃদঙ্গ আহত হইয়া সলিলের তাণ্ডব-নৰ্ত্তনে অবিরাম তাল যোগাইতেছে । আমরা পথ ও পথশ্ৰম ভুলিয়া কিয়ৎক্ষণ বিমুগ্ধচিত্তে নীরব নিম্পন্দভাবে দাড়াইয়া এই সৌন্দৰ্য্য উপভোগ করিতে লাগিলাম । হনুমান চটিতে পৌছিবার অল্প পূর্বে একটি স্থানে আমাদিগকে যবদি দ্বারা হোম করিতে আহবান করা হইয়াছিল-ঐ স্থানে নাকি মরুৎ রাজা যজ্ঞ করিয়াছিলেন । আমরা প্ৰায় ৫টার সময় হনুমান চটিতে পৌছি। তথায় হনুমানের মন্দিরে বিগ্ৰহ দর্শনাদি করিয়া পুনশ্চ পথ চলিতে উদযুক্ত হইলে তত্ৰত্য দোকানদারদের কেহ কেহ আমাদিগকে যাইতে নিষেধ করিয়া বলিল যে, পথ এত চড়াই যে, আমরা রাত্রির কমে ধামে যাইতে পারিব না। তখন পথে শীতে কষ্ট পাইতে হইবে । আমরা আজ গিয়া বন্দরী-নারায়ণ দর্শন • করিব, এই দৃঢ় সঙ্কল্পে “প্রণোদিত হইয়া নিষেধ না মানিয়াই