পাতা:পরশুরামকুন্ড ও বদরিকাশ্রম পরিভ্রমণ - পদ্মনাথ ভট্টাচার্য্য.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বদরিকাশ্ৰম পরিভ্রমণ11 6S চলিতে লাগিলাম। প্ৰায় অৰ্দ্ধেক পথ অতি ‘’ ৷ সুন্দর-বিশেষ কোন চড়াই পাওয়া গেল না। তৎপর ক্ৰমশঃ চড়াই আরম্ভ হইল। তুঙ্গনাথের চড়াই অপেক্ষা এই চড়াই অধিক নয় ; বন্দরীধাম পৰ্যন্ত পৌছিতে আমরা পথে বসিয়া কুত্ৰাপি বিশ্রাম করি নাই । পথিমধ্যে আমাদিগকে অল্পমাত্র জায়গা-৫৭ হাত বরফ মাড়াইতে হইয়াছিল এবং একটি নদী-বোধ হয়। কাঞ্চনগঙ্গা পার হইতে জুতা খুলিতে হইয়াছিল। এইরূপ আর পূৰ্ব্বে কোন দিন হয় নাই। দুই মাইল বাকী থাকিতে আমরা দ্রৌপদীর স্থান পাইলাম-সেখানে “চীর” অর্থাৎ ছিন্ন বস্ত্ৰ দিয়া যাইতে হয়, আমরা পরিধেয় বস্ত্রের একটুকু ছিড়িয়া দিয়া গেলাম, আরও খানিকটা চড়াই উঠিলে পর বন্দরী-নারায়ণের শ্ৰীমন্দিরে ধবজা দেখিতে পাইলাম । এই স্থানের অল্প উপরে পথের ডানদিকে কুবের-শিলা দৃষ্ট হইয়া থাকে । আরো কিঞ্চিৎ অগ্রসর হইয়া অনেকটা সমতল জমি প্ৰাপ্ত হইলাম । আমরা প্ৰায় ৭টার সময় অলকানন্দ পার হইয়া বন্দরীনাথের ধামে প্ৰবেশ করিলাম । প্ৰবেশ করিয়াই সৰ্ব্ব প্ৰথম পোষ্ট-অফিস পাইলাম-সেখানে আমাদের চিঠি পত্ৰ খোজ করিলাম । হরিদ্বার হইতে বন্দরীর ঠিকানায় সঙ্গী ডাক্তার-বাবুর নামে একখানি চিঠি লিখিয়া আসি, ঐখানি বদরীনাথে ৫ম দিনে পৌছিয়াছিল । বদরীনাথ হইতে কাশীতে একখানি চিঠি দিয়াছিলাম-উহা ৮ম দিনে তথায় পৌছে। বদরীনাথের পোষ্ট-আফিসে টেলিগ্ৰাফও Wit. পোষ্ট-আফিসে ডাক্তার জগদীশ বসু ও তদীয় সহ-ধৰ্ম্মিণীর নামে অনেক চিঠি দেখিলাম । কিন্তু তঁাহারা তখনও বদরী পৌছেন নাই। ফিরিবার পথেও লালসাঙ্গাপৰ্য্যন্ত ও তঁহাদিগের কোনও সন্ধান পাই নাই। ক্ষুদ্র শহরটি বড় জনাকীর্ণ বোধ হইল। রাস্তার দুই ধারে ঘন-সন্নিবিষ্ট