পাতা:পরশুরামকুন্ড ও বদরিকাশ্রম পরিভ্রমণ - পদ্মনাথ ভট্টাচার্য্য.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরশুরাম কুণ্ড । S দেওকুশ দেওমণি দেওআলু দেওপানি ইত্যাদি। পরশুরাম যাত্রীরা এত কষ্ট করিয়া তীর্থে আইসে, বাড়ী ফিরিয়া যাইবার সময় তীর্থের নিদর্শন একটা কিছু নিয়া যাইবার জন্য সুতরাং ব্যগ্ৰ হয়। পরশুরাম কর্তৃক প্ৰবৰ্ত্তিত এক প্রকার ঘাসের মত তৃণ “দেওকুশ” ( দেবকুশ) নামে অভিহিত হয়। কুশের কাৰ্য্য ইহা দ্বারাই চলে। ইহার মঞ্জরীতে একপ্ৰকার ফল হয়,-কঁচা অবস্থায় ঠিক ক্ষুদ্র বন্দরীর ন্যায় দেখায়। পাকিলে ইহার ত্বক নীলবৰ্ণ হয়। ত্বক ছাড়াইলে ভিতরের শাস ঠিক মণির মত দেখায়, এই ফলের নাম দেওমণি । ভক্তেরা ইহা সচ্ছিদ্র করিয়া রুদ্রাক্ষের ন্যায় ব্যবহার করে। দেওআলু ঐ স্থানেই পাহাড়ে উৎপন্ন আলুরই ন্যায় পদার্থ ; কঁচা খাইতে পারা যায়, কিন্তু বিশেষ কোনও স্বাদ নাই। শুষ্ক, আলুগুলির আকার বড় মোনাঙ্কার মত। তখন ইহার কাল নয়, সুতরাং আমরা কতগুলি শুষ্ক আলু মাত্ৰ পাইয়াছিলাম। দেওমণি দেও আলু পয়সায় ৩৪টা করিয়া মিশামিরা বেচিয়াছে। দেওকুশ ঐ ক্ষেত্রে যথেষ্ট জন্মায়, তুলিয়া লইলেই হইল। দেওমণিও পাওয়া যাইত কিন্তু মিশামিরা লাভের আশায় পূর্ব হইতেই ঐগুলি সংগৃহীত করিয়া লইয়াছিল; তবুও অপক্ক ফল দুই একটি যে পাওয়া না গিয়াছে তাহা নহে। দেওপানি কুণ্ডে পতিত ব্ৰহ্মকুণ্ডের জল ধারা ; যাত্রীরা বাঁশের চোঙ্গ ভরিয়া এই পবিত্ৰ জল সঙ্গে করিয়া নিয়া গিয়াছে। কেহ কেহ “কুণ্ডের চরভাগ হইতে মৃত্তিক সংগ্ৰহ করিয়া নিয়াছে, আমি উহার “দেওমাটি” নাম প্ৰদান করিয়াছিলাম । পরশুরামাষ্টক । পরশুরামকুণ্ডে স্নানতৰ্পণাদি করিবার সময়ে অবশ্যই সেই ভগবদবতার ক্ষত্ৰিয়-শোণিতে পিতৃতর্পণকারী ব্ৰাহ্মণের কথা মনে পড়িল ; ভাবপ্রবাহে