পাতা:পরশুরামকুন্ড ও বদরিকাশ্রম পরিভ্রমণ - পদ্মনাথ ভট্টাচার্য্য.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বদরিকাশ্ৰম পরিভ্রমণ । Sou প্ৰায় ১০ মাইল পথ চলিয়া পৌনে ১১টার সময় আমরা মোহন চটিতে পৌছিলাম। পথে ফুল-বাড়ী চটি ; লক্ষ্মণ ঝোলা হইতে ৪৷ মাইল । ও গুলর চর্টি ( ফুলবাড়ী হইতে ১৷ মাইল । পাইয়াছিলাম। কিন্তু কুত্ৰাপি অবস্থান করা হয় নাই ; কেন না। কাঞ্জী ওয়ালা আগেই চলিয়া গিয়াছিল এবং তাহার মোহন চটিতে আমাদের জন্য অপেক্ষা করিবার কথা ছিল । নচেৎ রৌদ্র বড় খরােতর হইয়া উঠিয়াছিল ; তখন ভ্ৰমণ অত্যন্ত ক্লেশ কর তইয়া দাড়াইয়াছিল । রাস্তা ভালই ছিল । তথাপি পাৰ্ব্বতা পথ, কিছু না কিছু চড়াই উৎরাই ( উঠা নাম: ) আছেই। চড়াই উঠিতে গলদঘন্ম হইতে দেখিয়া গোমস্ত বলিলেন, “‘বাবুজী গরুড় ভগবানকে স্মরণ করুন ভগবান বলিযাছেন, যা তারা আমার দর্শনার্থ আসিয়া পথশ্রমে ক্লান্ত হয়, তাহাদিগকে আমি গরুড় দ্বারা আমার নিকট আনয়ন করি।” গোমস্ত ঠাকুরের কথায় আমরা “গরুড় ভগবানকি জয়” ডাকিলাম বটে। কিন্তু পক্ষিীরাজ আসিলেন না। কথাটা কি বাস্তবিক মিথ্যা ? তাহা নয় ; এই গরুড় শরীরী বিহঙ্গম নহে। কিন্তু তথাপি নারায়ণের বাহন ; হৃদয়ের ভক্তি বিশ্বাসই সেই গরুড়, উক্তাই ভগবানের নিয়ত বসিবার স্তান । যখন পথ ক্লেশে শরীর দুর্বল হয়, তখন মনের ভক্তি বিশ্বাসের বলেই আমাদিগকে তাহার দিকে চালনা করিয়া লইয়া যায় । অপিচ ইহা প্রকৃতই বিনতানন্দন, বিনতের আনন্দন ; এবং ইহা পাবনাতিরেক বেগশালী, কেন না। মুহূৰ্ত্ত মধ্যে মনকে মৰ্ত্তা হইতে বৈকুণ্ঠ লইয়া যায়। এইরূপ ভাবনায় বাস্তবিক পথ যেন অনেকটা সংক্ষিপ্ত হইয়া পড়িল । চটিতে আসিয়া দেখি, উত। লোকে পরিপূণ,--বস্তুত: ; আমরা একান্ত অসময়ে সেই স্থানে পড়েছিলাম । যাত্রীরা প্ৰত্যুষে পথ চলিতে আরম্ভ করিয়া রৌদ্রের তেজ খরতের হইতে না হইতে চটিতে আশ্ৰয় গ্ৰহণ করে। আবার রৌদ্র যখন একটু পড়িয়া আইসে তখন কিছুটা পথ চলিয়া রাত্রি যাপনের নিমিত্ত চটি বিশেষে আশ্রয়