পাতা:পরশুরামকুন্ড ও বদরিকাশ্রম পরিভ্রমণ - পদ্মনাথ ভট্টাচার্য্য.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 বদরিকাশ্রেম পরিভ্ৰমণ । লাভ করে । আমরাও অন্যান্য দিন তাহাই করিয়াছি । কাণ্ডীওয়ালা বোঝা লইয়; যাত্রীদের সঙ্গে চলিতে পারে না, অনেক সময় পথে বিশ্রাম করিয়া কাটায় ; এই জন্যই চলিবার অন্ততঃ অদ্ধ ঘণ্টা আগে উহাকে ছাড়িয়া দিতে হইত। অত্যাবশ্যক দুই একখানি জিনিষ গোমস্ত ঠাকুরাই, যিনি কদাপি আমাদের কাছ ছাড়া তিন নাই, অমানবিদনে বক্তন করিতেন । মোহন চটিতে আমরা যে একদল যাত্রীর নিকটে জায়গা লইয়াছিলাম, তাহাদের মধ্যে একটি পাচ মাসের শিশু ও একজন ৮১ বৎসরের বুদ্ধ ; ইহার লক্ষ্মেী হইতে আসিয়াছে । বৃদ্ধের এই তৃতীয় বার বদরী যাত্ৰ-- খুব উৎসাহ । ইহাদের দেখিয়া আমাদের ও মনে সাহস আসিল । চটিটি বেশ সমতল জমিতে অবস্থিত, নিকটে একটা নদী প্রবহমান, নাম হিরণ্যগঙ্গা । ওরফে হিউল ) । ক্রোশ পরিমিত দুরবস্ত্রী উচ্চ পৰ্ব্বতের অধিবাসী ২৩ জন ব্রাহ্মণ আসিয়া এই নদীর মহাত্ম্য জ্ঞাপক ছাপার গ্ৰন্থ তথা বদরীনাথ ও কেদারনাথের মাহাত্ম্যগ্ৰন্তপাঠ ও চিনদী অনুবাদ শুনাইয়া যাত্রীদের নিকট হইতে কিছু কিছু দক্ষিণ গ্ৰহণ করিতে লাগিলেন। পাঠের ব্যাখ্যা করার রীতিতে ব্ৰাহ্মণ, দিগকে মূৰ্ত্তিমান গ্রামোফোন বলিয়া বোধ হইতে লাগিল । অবিশ্রান্ত বেগে পাঠাদি চলিতেছে বটে, কিন্তু যাহা বলা হইতেছে, তাহার অর্থ পাঠক স্বয়ঃ বুঝিয়াছেন। কিনা সন্দেহ ! পোনে পাচটায় রৌদ্র কিছু পড়িলে আমরা চটি ছাড়িয়া পথ চলিতে লাগিলাম। অশীতিপর বর্ষীয়ানের দল দৈনিক এক বেলা মাত্র পথ চলে, কেন না। উহারা বিশেষ সাবধান । কিন্তু এক বেলাতে ১০১২ মাইল অতিক্রম কিরিত । যাহা হউক, এখান হহঁতে একটা বড় চড়াই আমাদিগকে অতিক্ৰম করিতে হইল ; তাই মাত্র ৩৷৷ মাইল চলিয়াই প্ৰায় ৭টার সময় বিজনী চটিতে রাত্রি যাপনার্থ আশ্ৰয়: