পাতা:পরশুরামকুন্ড ও বদরিকাশ্রম পরিভ্রমণ - পদ্মনাথ ভট্টাচার্য্য.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বদরিকাশ্রম পরিভ্ৰমণ । ᏬᏕ. অপর একটি চটি দেখিয়াছিলাম। রামপুর চটট বেশ অনেকগুলি দোকান। কিন্তু উভয় দিক হইতে যাত্রী আসাতে গৃহগুলি বেশ জনপূর্ণ চইয়াছিল । এক দল বাঙ্গালী যাত্রী আমাদের এক ঘরেই আশ্রয় লাভ করিল। একটা অল্পবয়স্ক বিধবা স্ত্রীলোক কঁাদিতে কঁাদিতে আসিয়া সন্ধ্যার সময় ইহাদের সঙ্গে মিলিলেন। অনুসন্ধানে জানা গেল যে, ইহার বৃদ্ধা জননী কেদার হইতেই জর নিয়া নামিয়াছিলেন, তিনি চটির দুই মাইল দূরে নশ্বর সংসার পরিত্যাগ করিয়া কৈলাসে গমন করিয়াছেন । আমরা পথিমধ্যে রোগী তুই একটা দেখিয়াছি, কিন্তু মরণের সংবাদ আর পাই নাই । দ্বাদশদিন ৭ই জ্যৈষ্ঠ শনিবার ত্ৰিযুগীনারায়ণ । রামপুর চটি হইতে দুই মাইল পথ চলিয়া একটা কাঠের পুল পাওয়া যায়। সেই স্থান তইতে দুইটি রাস্তা গিয়াছে-এক কেদারনাথের পথ, অপর ত্ৰিমূগী নারায়ণের পথ। ত্ৰিযুগী নারায়ণ এই স্থান হইতে ৩ মাইল ; কিন্তু অনেকটা চড়াই। খুব উচ্চ একটা চড়াই উঠিয়া অৰ্দ্ধ পথে একটি দেবমন্দির পাওয়া যায় এবং এখানে অনেক ‘ন্যাকড়া” বাধা দেখা যায় । এ স্থানের দেবতার নাম শাকিস্তারী-যাত্রীরা প্ৰণামী চড়াইয়া পরিহিত বস্ত্রের এক টুকরা ছিড়িয়া উপহার দিয়া যায়। শাকম্ভরী-দুর্গার রূপান্তর, ইহার উল্লেখ চণ্ডীতেও আছে। ত্ৰিযুগী নারায়ণের পুরীতে বৃক্ষাদির অভাব চাইলেও পথে অনেক বৃক্ষলতা দেখিতে পাইলাম। বেলা ৮॥টার সময় ত্ৰিযুগী নারায়ণে পৌছিলাম।