পাতা:পরশুরামকুন্ড ও বদরিকাশ্রম পরিভ্রমণ - পদ্মনাথ ভট্টাচার্য্য.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বদরিকাশ্রেম পরিভ্রমণ । 86 উৎরাই নামিয়া দুৰ্গা চটি পাইলাম। নিকটে একটি নদী-উহা পুলে পার হইলে চড়াই আরম্ভ হইল। চড়াই ৪ মাইল উঠিয়া পোখী চটিতে মর্যাহন্ত-কৃত্য-সম্পাদনার্থ বিশ্রাম গ্ৰহণ করিলাম । আমরা আঙ্গারাদি সমাপন্যান্তে প্ৰস্তানের উদযোগ করিতেছি, এমন সময় মেঘাড়ম্বর করিয়া অল্পস্বল্প বারি-বর্ষণ হইতে লাগিল । আমরা কিয়ৎক্ষণ অপেক্ষা করিলাম—কিন্তু বেল প্ৰায় ৩ টা ভইল, তখন : অপেক্ষা করা বৃথা মনে করিয়া বৃষ্টির মধ্যেই বাহির হইয়া পড়িলাম। কাণ্ডিতে আমাদের মাল পত্র না ভিজিবার জন্য অয়েলক্লথ দ্বারা ঢাকিয় দেওয়া চইয়াছিল। কিন্তু বাহির হইবার অব্যবহিত পরেই বুষ্টিপাতে আমরা নিজে সম্পূৰ্ণ ভিজিয়া গেলাম-পথ ও চড়াই, আবার বৃষ্টিতে পিচ্ছিল হইয়া হইয়া পড়িয়াছিল । অতএব সাবধানে চলিতে চাইয়াছিল । পথে প্ৰায় এক এক মাইল অন্তর চটি পাইলাম-কিন্তু আমাদের সঙ্কল্প ছিল, ৩ মাইল চলিয়া চৌপট চটিতে পৌছিতেই তইবে-কেন না, ঐ চটি চাইতে আসল রাস্তী ছাড়িয়া তুঙ্গনাথ-পৰ্ব্বতশিখর আরোহণ করিতে হইবে। আমাদের সঙ্কল্প সিদ্ধ হইল, প্ৰায় ৫|| টার সময় চৌপটায় পৌছিলাম। তখন বৃষ্টি ও থামিয়া গিয়াছিল । চৌপটায় ঐ দিন জেলার সিবিল সার্জন সাহেব অবস্থান করিতেছিলেন- তদুপলক্ষে ও অনেক লোকের সমাগম দেখা গেল। আমরা যে দিন। রুদ্র প্রয়াগ হইতে কেদারের পথে আসি, সেই দিন তুঙ্গনাথের জনৈক পাণ্ডার সঙ্গে সাক্ষাৎকার হয় । তিনি তাহার নাম-গুণানন্দ রূপরাম—বলিয়া দেন এবং তুঙ্গনাথের পর্বতের পাদদেশে পথিমধ্যে আমাদের সহিত সাক্ষাৎ হইবে, এ কথা ও বলিয়াছিলেন । আশ্চৰ্য্যের বিষয় এটা যে, আমরা গিয়া দেখি; সেই গুণানন্দ পাণ্ডাজী চৌপটার চটিতে যাত্ৰি-সংগ্ৰহাৰ্থ বিরাজমান । তাহার সহায়তায় আমরা একটি ভাল স্থানই পাইলাম এবং তিনিই যত্ন করিয়া অগ্নির ব্যবস্থাদি ܥܒ