পাতা:পরশুরামকুন্ড ও বদরিকাশ্রম পরিভ্রমণ - পদ্মনাথ ভট্টাচার্য্য.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বদরিকাশ্রেম পরিভ্ৰমণ । 8S সাধু প্ৰভৃতি নিঃসম্বল ব্যক্তি থাকিবে, সকলকেই শেঠজী ভোজন দিবেন। তদৰ্থেও দোকানের বহু মাল কাটিয়া যায়। পল্লীতে ভদ্রবেশধারী যাত্রীমাত্ৰকেই এদেশে “শেঠজী” বলিয়া সম্ভাষণ করে- আমরাও "শেঠজী” উপাধি লাভ করিয়াছিলাম । শেঠজীদের এইরূপ অনুকম্প ব্যতীতও। সাধু সন্ন্যাসী বা নিঃস্ব যাত্রীদের উপকারার্থ স্থানে স্থানে ধৰ্ম্মশালায় সদাব্রতের ব্যবস্থা আছে। মহাত্মা “কালী কমলী ওয়ালার” প্রতিষ্ঠিত ঈদৃশ ধৰ্ম্মশালা প্ৰায় সমস্ত প্ৰধান স্থানেই রহিয়াছে । নিঃস্ব যাত্রীরা অপরাপর যাত্রীদের কাছ হইতে ও অর্থ বা খাদ্যদ্রব্য ভিক্ষণ করিয়া থাকে। এ দেশে অপর ভিক্ষুক ও অনেক পাওয়া যায় । * পথের মধ্যে অনেকে ভিক্ষার নিমিত্ত বসিয়া থাকে । কোন ও গ্রামের নিকট দিয়া গেলে ছেলে মেয়েরা পয়সা চাহিবে-অধিক বয়স্ক সুগ্ৰীপুরুষেরা অন্ততঃ সূই তাগা ( অর্থাৎ সূচী সূতা ) দিয়া যাইতে বলিবে । এই জন্য পাই, আধিপয়সা, পকেটে রাখিতে হয়, অনেকে সুই-তাগাও দানার্থ সঙ্গে লইয়া আইসে । অপরাহ্নে পূর্বের দিনের ন্যায় মেঘাড়ম্বর হইল বটে, কিন্তু বর্ষণ তেমন হইল না। আমরা ৩টার সময় বাক্তির হইয়া পড়িলাম, এবং প্রায় ২ মাইল উৎরাই পথ চলিয়া জঙ্গল চটিতে উপস্থিত হইলাম । তখন অস্ত্ৰ অল্প করিয়া বর্ষণ হইতে লাগিল বটে, কিন্তু তাহাতে আমাদের বিশেষ কোন অসুবিধা হয় নাই । আমরা আরও ৩ মাইল উৎরাই পথ অতিক্রম করিয়া মণ্ডলচটিতে গিয়া রাত্রি যাপন করিলাম । মণ্ডলচটি অনেকটা সমভূমি দেখিলাম । ইঙ্গারই সন্নিধানে চতুর্থ কেদার রুদ্রনাথ যাইবার স্টাড়ি পথ। ঐ পথের কিয়দার গেলেই অনসূয়ার মন্দির পাওয়া যায়।