পাতা:পরশুরামকুন্ড ও বদরিকাশ্রম পরিভ্রমণ - পদ্মনাথ ভট্টাচার্য্য.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e. বদরিকাশ্রম পরিভ্ৰমণ বিংশদিন ১৫ই জ্যৈষ্ঠ রবিবার গোপেশ্বর ও পিপুলকুঠি। ] ভোরে উঠিয়া আমরা মণ্ডলচটি ছাড়িয়া অবন্ধুর পথে চলিতে লাগিলাম। এই স্থান হইতে গোপেশ্বর প্রায় ছয় মাইল ; কিন্তু ইহার মধ্যে অনেকগুলি চটি পাইলাম। গোপেশ্বর চটিতে আমরা আল্লক্ষণমাত্ৰ ছিলাম ; নিকটে বৈতরণী নামক একটি প্রস্রবণ আছে, ঐ স্থানে স্নান-তৰ্পণ করিলাম । তৎসন্নিকটে ছোট ছোট ৩৪টি দেব মন্দির আছে। তন্ত্রতা দেবতা দশন পূর্বক গোপেশ্বরের মন্দিরে গমন করিলাম। মন্দিরটি বেশ বড় এব” পুরাতন বলিয়াই বোধ হইল । মন্দিরের প্রাঙ্গণে এবং ভিতরে পরশুরাম, গণেশ প্রভৃতি অনেক দেবত আছেন । স্বতন্তু একটি দ্বিতল প্রকোছে লক্ষ্মীদেবী আছেন এবং তৎসমীপে বোধ হয় মোহান্তের বৈঠকখানা । শিবলিঙ্গ সর্বত্রই দশন ও স্পৰ্শন করিতে পাইয়াছি, গোপেশ্বর কিন্তু স্পর্শ করিতে পারা গেল না । এইরূপে দেব-দশনাদি সমাপন করিয়া আমরা ২ মাইল পথ চলিয়া লালসাঙ্গায় উপস্থিত হইলাম। লালসাঙ্গার সরকারী নাম চমৌলী । আমরা বহুদিন পরে হরিদ্বার হইতে বন্দরীর যে বরাবর শড়ক গিয়াছে সেই প্রশস্ততর পথ পাইয়া আনন্দিত হইলাম। এখানে পাহাড়ের পাথর মাৰ্ব্বেলের ন্যায় বোধ হইল । অলকানন্দার পুল পার হইয়া লালসাঙ্গার বাজার প্রভৃতি পাওয়া যায়। আমাদিগকে পুল পার হইতে হইল না। আমরা আরও দুই মাইল চলিয়া মঠচটিতে গিয়া মধ্যাহকৃত্যের ব্যবস্থা