পাতা:পল্লীগ্রামস্থ চৌকীদার বিষয়ক প্রস্তাবিত রাজ নিয়মের বিরুদ্ধে ভারতবর্ষীয় সভার আবেদন.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
( ৩ )

হয়, যথাযোগ্য বিষয়ে তাহার সমুদয় নিযোজিত করিতে মান্যবর ডিরেক্টরদিগের কি অত্রস্থ গবরণমেণ্টের, কাহারোই এপর্যন্ত উদ্যোগ দেখিতে পাওয়া যায় না।

 ৩। আমরা এই আশা করিয়াছিলাম, যে ঘোরতর অত্যাচারের বৃদ্ধি দেখিয়া রাজপুরুষেরা অবশ্যই তাহার দমনার্থে বিজ্ঞ ও বহুদর্শি কর্ম্মচারিদিগকে স্থানে স্থানে প্রেরণ করিবেন, শান্তিরক্ষকের সংখ্যা বৃদ্ধি করিবেন, এবং অন্য অন্য উত্তম উপায় সকল স্থির করিবেন। কিন্তু এই রাজনিয়মের পাণ্ডুলেখ্য দেখিয়া সে সমুদয় আশা ভঙ্গ হইয়াছে। এই প্রস্তাবিত রাজনিয়ম অনুসারে ভূম্যধিকারিদিগের ন্যায্য অধিকার ও ক্ষমতার প্রতি অত্যাচার হইবে; এবং ন্যায়ানুগত বিবেচনা অনুসারে যে সকল ব্যয় তাঁহারদের উপর অর্শিতেপারে না, তাহার ভার তাঁহারদিগের উপর অর্পিত হইবে। এই সকল কারণ বশতঃ প্রস্তাবিত রাজনিয়ম সংস্থাপনের প্রতি আমারদের যে সকল আপত্তি, তাহা বিস্তারিতরূপে লিখিতেছি।

 ৪। উপস্থিত রাজনিয়মের এক স্থলে এই উল্লেখ আছে যে “ডাকাইতি ও অন্যান্য ভারি অপরাধ বাঙ্গলা দেশের ফোর্টউইলিয়ম রাজধানীর কতক জিলার মধ্যে পুনঃপুনঃ হুইয়া থাকে”। কিন্তু গবর্ণমেণ্ট এই সকল অত্যাচার দমন করিতে কি উপায় স্থির করিলেন। উপায়ের মধ্যে এই প্রস্তাবিত নিয়মের প্রথম প্রকরণে এই মাত্র বিধান আছে, যে ধৃত হইয়া যাহারদের দোষ সপ্রমাণ হইবে, পূর্ব্বাপেক্ষা তাহারদিগের প্রতি অধিক দণ্ড বিহিত হইবেক; এবং পূর্ব্বে যে কখন কোন ডাকাইতির