পাতা:পল্লীগ্রামস্থ চৌকীদার বিষয়ক প্রস্তাবিত রাজ নিয়মের বিরুদ্ধে ভারতবর্ষীয় সভার আবেদন.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
( 8 )

দলে ভুক্ত ছিল, সে যাবজ্জীবনের নিমিত্ত দ্বীপান্তর গত হইবে। অন্য অন্য দেশের রাজনীতি শাস্ত্রে সুপণ্ডিত নিয়মকর্ত্তাদিগের দৃঢ় প্রত্যয় এই, যে অপরাধি ধৃত করণের ও তাহার দণ্ড বিধানের নিশ্চয়ত্ব থাকা কুকর্ম্ম দমনের যেমন উপায়, কঠিন দণ্ড বিধান করা সেরূপ কদাপি নহে। ইহার বিরুদ্ধে ভারতবর্ষের নিয়মকর্ত্তারা প্রাচীন কালের কুপ্রথার অনুবর্ত্তি হইয়া ভীষণ ও কঠিন রাজনিয়ম সকল প্রচলিত করিতেছেন; কিন্তু যাহাতে কুকর্ম্ম নিবারণ হয় এবং অপরাধিরা অপরাধের অব্যবহিত পরেই বিচারালয়ে আনীত হয়, তাহার কোন সদুপায় স্থির করিতেছেন না।

 ৫। সকলেরই এই নিশ্চয়, যে শান্তি বিষয়ক নিয়ম সংস্থাপন ও কর্ম্মচারি নিযুক্ত করণে রাজারদের এই প্রধান লক্ষ্য যে অত্যাচার নিবারণ হয়। দ্বিতীয় লক্ষ্য এই যে অত্যাচার নিবারণ না করিতে পারিলে অপরাধি নিশ্চয় ধৃত হয়। অপরাধিকে ধৃত করিয়া, পরে তাহার কুকর্ম্মের আনুসঙ্গিক বৃত্তান্ত অনুসন্ধান করা ও অপরাধ সাব্যস্ত হইবার প্রমাণ সংগ্রহ করা বিধেয়। এই সকল হইলে পর ধৃত ব্যক্তি যথার্থ অপরাধি কি না রীতিমত তাহা বিচার করা, ও অপরাধ সাব্যস্ত হইলে নিরূপিত দণ্ড বিধান করা যুক্তিসিদ্ধ। অতএব দণ্ড বিধান করিতে হইলে তাহার অগ্রের সকল কর্ত্তব্য কর্ম্ম করা আবশ্যক এবং সেই সকল অগ্রের কর্ম্ম যথাযোগ্যরূপে সম্পন্ন হইবার উপায় না থাকিলে রাজনিয়মের কঠিনত্ব বৃদ্ধি করা নিরর্থক। ইংলণ্ডীয় রাজপুরুষেরা ভারতবর্ষ শাসনের পক্ষে উক্ত প্রণালী নিরবচ্ছিন্ন অবলম্বন করেন নাই।