পাতা:পল্লীগ্রামস্থ চৌকীদার বিষয়ক প্রস্তাবিত রাজ নিয়মের বিরুদ্ধে ভারতবর্ষীয় সভার আবেদন.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
( ১৪ )

বা সন্দেহ করিত, তাহা হইলে স্বীকার করিয়া লওয়া হইল, যে জেলার তাবৎ লোকে যাহা অবগত ছিল যে মাজিষ্ট্রেট সাহেব উহারদিগকে কর্ম্মে নিযুক্ত করিবার বিষয়ে সম্মতি প্রকাশ করিয়াছেন, তিনি অবগত ছিলেন না; অথবা তিনি অবগত থাকিয়াও তাহারদিগকে নিযুক্ত করিবার বিষয়ে আপত্তি করেন নাই। ইহা হইলে এই বলা হয়, যে যাহারা বিখ্যাত অত্যাচারী তাহারা প্রায় ধৃত হয় না ও বিচারার্থে আনীত হয় না। এই নিয়ম যে প্রকারে বিবেচনা করা যায়, তাহাতেই ইহার দোষ প্রকাশ হয়।

 ১৪। এই রাজ নিয়মের পাণ্ডুলেখ্যের চতুর্থ ধারার স্পষ্ট লক্ষ্য এই, যে ভূম্যধিকারিদিগকে পল্লীগ্রামের চৌকীদার নিযোজিত করণ ক্ষমতা হইতে বঞ্চিত করিয়া কেবল উহারদের বেতনের ভার তাঁহারদের উপর রাখা হয়। আর আমরা ইহাও নিবেদন না করিয়া ক্ষান্ত থাকিতে পারি না, যে পল্লীগ্রামের চৌকীদারদিগকে যথা যোগ্য রূপে বেতন দেওয়া হইতেছে কি না, মাজিষ্ট্রেট সাহেবেরা তাহা কিরূপে স্থির করিবেন আর কিরূপেই বা উহারদিগের বেতন পাওনা থাকা নিরূপণ করিবেন, তাহার কোন বিধি উল্লিখিত হয় নাই। পরন্তু আমার দিগের বিশেষ নিবেদন এই, যে যাহারা বহুকাল পর্য্যন্ত চৌকীদারদিগের বেতন রূপ ভার বহন করিয়া আসিতেছে, নিয়ম কর্ত্তারা তাহারদিগের নিকট হইতে সেই ভার উত্তোলন করিয়া ভূম্যধিকারিদিগের উপর তাহা অর্পণ করিবার যে ক্ষমতা গ্রহণ করিতেছেন, তাহা ন্যায় বিরুদ্ধ। এক শ্রেণীস্থ ব্যক্তির ভার আর এক শ্রে-