পাতা:পল্লীগ্রামস্থ চৌকীদার বিষয়ক প্রস্তাবিত রাজ নিয়মের বিরুদ্ধে ভারতবর্ষীয় সভার আবেদন.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
( ১৫ )

ণীস্থ ব্যক্তির উপর কি নিমিত্তে অর্পিত হইতেছে, তাহার কিঞ্চিন্মাত্র কারণও প্রদর্শন করা হয় নাই। বস্তুত প্রজাদিগের দোষের নিমিত্তে ভূম্যধিকারিরা কি নিমিত্তে দণ্ডনীয় হইবেন, তাহার কারণ দর্শান নিতান্ত সহজ নহে। যদি ভূম্যধিকারিদিগের নিকট হইতে নিরূপিত রাজস্ব বৃদ্ধি করিবার অভিপ্রায়ে রাজপুরুষেরা এবিষয়ে যথেচ্ছাচার করিতে উদ্যত হইয়া থাকেন, তাহা হইলে আমারদিগের নিবেদন এই, যে দশশালা বন্দোবস্ত অনুসারে গবর্ণমেণ্ট তাহা কখনই করিতে পারেন না।

 ১৫। গূঢ় ভাবার্থ ঘটিত রাজনিয়ম সকল প্রচলিত হইলে আমারদিগের যত শঙ্কা হয়, স্পষ্টরূপে নির্দ্ধারিত রাজস্ব বৃদ্ধি করিবার উদ্যোগে আমারদিগের তত শঙ্কা হয় না। রাজকর্মচারিরা যে সকল বিবরণ প্রকাশ করিয়াছেন, তদনুসারে বাঙ্গালা দেশের ৩২ জিলাতে অনুমান ১,৬৯,২৪৩ জন চৌকীদার আছে এবং প্রত্যেকের মাসিক ৩ টাকা বেতনে প্রতি বৎসর ৬০,৯২,৭৪৮ টাকা ব্যয় হয়। আমারদিগের বিবেচনায় পূর্ব্বোক্ত অনুমান ভ্রান্তি মূলক; কারণ আমরা অবগত আছি, যে প্রত্যেক গ্রামের চৌকীদার নিযুক্ত করিবার পদ্ধতি এবং তাহারদিগের বেতনের নিয়ম ভিন্ন ভিন্ন। পূর্বোক্ত রাজকীয় বিবরণ যথার্থই হউক বা ভ্রান্তি মূলকই হউক, স্পষ্টই দেখা যাইতেছে, যে উহার উপর নির্ভর করিয়া গবর্নমেণ্ট প্রস্তাবিত রাজনিয়মের বিধি সকল সংস্থাপন করিয়াছেন। আমারদের বোধে এই নিয়মের দ্বারা পল্লীগ্রামের চৌকীদারেরা ক্রমে ক্রমে এইক্ষণকার অকর্ম্মণ্য শান্তি-রক্ষকদিগের সহকারি হইয়া মাজিষ্ট্রেট সাহেবদিগের অধীন