পাতা:পল্লীগ্রামস্থ চৌকীদার বিষয়ক প্রস্তাবিত রাজ নিয়মের বিরুদ্ধে ভারতবর্ষীয় সভার আবেদন.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
( ১৯ )

মেণ্ট এই অনুজ্ঞা করেন, যে এই দুই প্রকার কর হইতে যে টাকা আদায় হইবে, তাহা “পুলিস কর” বলিয়া জমা হইবে। ইং ১৭৯৭ সালের ৬ আইন অনুসারে ব্যবসায়িদিগের নিকট হইতে শান্তি-রক্ষা বিষয়ক কর সংগ্রহ করা রহিত হয়। আর “পুলিস টেক‍্স” রহিত করাতে শান্তিরক্ষা কার্য্য নির্ব্বাহ জন্য ব্যয়ের যে অকুলান হইবে, তাহা পূরণার্থে মোকদ্দমার খরচা না লইয়া ষ্টাম্প আইন প্রচার করা স্থির হয়। এই সকল হেতু বশতঃ আমরা নিবেদন করিতেছি, যে ষ্টাম্প করের মধ্যে যে অংশ ১৭৯৩ সালের ৩৮ আইন অনুসারে দেশীয় বিচারপতিদিগের নিমিত্ত এবং রাজ্যের সাধারণ ব্যয়ার্থে নিরুপিত আছে, তদ্ব্যতীত সমস্ত টাকা শান্তি-রক্ষা বিষয়ে নিযোজিত হওয়া উচিত। রাজকীয় বিবরণে জ্ঞাত হওয়া যায়, ষ্টাম্প কর ২২ লক্ষ টাকা; আদায়ের খরচা এক লক্ষ টাকা বাদে ২১ লক্ষ টাকা হয়। যথার্থ বিবেচনা করিলে এই টাকার মধ্যে ন্যূনকল্পে ১৪ লক্ষ টাকা শান্তি-রক্ষা বিষয়ে নিযোজ্য। আমারদিগের আরও এই নিবেদন, যে ইং ১৭৯৩ সালের ৩৪ আইনের হেতুবাদে ইহা স্পষ্ট লিখিত আছে, যে “আবকারি টেক‍্স” কেবল রাজকীয় কর বৃদ্ধির নিমিত্তে নির্দ্ধারিত হয় নাই, অপরাধ নিবারণ কারাও ইহার এক উদ্দেশ; আর ইং ১৮০০ সালের ৬ আইনের ১৯ ধারাতে উল্লিখিত আছে, যে আবকারি টেক্‌সের দ্বারা পুলিসেরও সাহায্য হইবে। এমতে আবকারি বিষয়ে যে কর সংগৃহীত হয়, তাহার কতক অংশ শান্তিরক্ষা বিষয়ে নিযোজিত হইতে পারে। আমরা ইহাও নিবেদন করিতেছি, যে নদীর পারাপার ইত্যাদিতে