পাতা:পল্লীগ্রামস্থ চৌকীদার বিষয়ক প্রস্তাবিত রাজ নিয়মের বিরুদ্ধে ভারতবর্ষীয় সভার আবেদন.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
( ১৮ )

এই বন্দোবস্ত অনুসারে দশ শালা বন্দোবস্ত হয়; সুতরাং পূর্ব্বোক্ত দুই অঙ্ক তাহার অন্তর্গত ছিল। ঐ দশশালা বন্দোবস্ত পরে চিরস্থায়ী হয়। অপরন্তু প্রথম বন্দোবস্ত অপেক্ষা সদর জমা অনেক বৃদ্ধি হইবার পর চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হয়; সুতরাং বোধ হইতে পারে, যে আর আর অঙ্কের সহিত উল্লিখিত দুই অঙ্কও বৃদ্ধি হইয়াছিল। পরে এরূপ প্রণালীকে গবর্নমেণ্ট ভ্রান্তিমূলক ও অসভ্য নীতি কৌশলের আনুসঙ্গিক বোধ করিয়া, ইং ১৭৯৩ শালের ২২ আইনের দ্বারা তাহা রহিত করেন; আর ইং ১৭৯৩ সালের ১ আইনের ৮ ধারার ৪ প্রকরণে এই বিধান করেন, যে শান্তি-রক্ষকদিগের নিমিত্তে যে সকল ভূমির উপস্বত্ব নিয়োজিত আছে, তাহা শান্তি-রক্ষা কার্য্য নির্ব্বাহ নিমিত্তে বাজেয়াপ্ত হয়। আমরা অবগত হইয়াছি, যে এই নিমিত্তে বর্দ্ধমান ও হুগলি জেলার ভূম্যধিকারিরা পৃথক্ বা সদর জমার সহিত একত্রে রাজকোষে যে বার্ষিক কর প্রদান করেন, তাহা প্রায় এক লক্ষ টাকা। ইং ১৭৯২ সালের ৭ ডিসেম্বর তারিখের গবর্নমেণ্টের অনুমতি অনুসারে যে “পুলিস টেক‍্স” নামে এক কর নির্দ্ধারিত হয়, তাহার পরিবর্ত্তে ইং ১৭৯৩ সালের ২৩ আইনে এই নিয়ম নির্দ্ধারিত হয়, যে শান্তি-রক্ষা সম্বন্ধীয় ব্যয় বাণিজ্য ব্যবসায়িরা সম্পন্ন করিবেন; কারণ শান্তি-রক্ষা উত্তমরূপ হইলে তাঁহারদিগেরই বিশিষ্ট উপকার, অথচ তাঁহারা তদ্বিষরক পৃথক্ কর দেন না! এরূপ বিধি হইবার আরও এক কারণ এই, যে ভূম্যধিকারিরা বন্দোবস্ত অনুসারেই শান্তি-রক্ষার নিমিত্তে সমধিক কর প্রদান করিতেছেন। কালেকটর সাহেবদিগকে গবর্ণ-