চুপ করিয়া থাকিয়া বলিল,—“তোমার গাঁয়ে হয় ত কিছুতেই ফোস্কা পড়ে না। কিন্তু, সকলের গাঁয়ে ত গণ্ডারের চাম্ড়া নেই! কিন্তু, লোককে একথা বলাচ্চে কে? তুমি?”
“আমি?”
রমা প্রাণপণ-শক্তিতে ভিতরের দুর্নিবার ক্রোধ সংবরণ করিয়া রাখিতেছিল—এখনও তাহার কণ্ঠস্বরে তাহা প্রকাশ পাইল না। বলিল,—“তুমি ছাড়া আর কেউ নয়। পৃথিবীতে কোন দুষ্কর্মই ত তোমার বাকি নেই—চুরি, জুয়াচুরি, জাল, ঘরে আগুন-দেওয়া, সবই হয়ে গেছে, এটাই বাঁ বাকি থাকে কেন?” বেণী হতবুদ্ধি হইয়া হঠাৎ কাথা কহিতেই পারিল না। রমা কহিল,—“মেয়েমানুষের এর বড়ো সর্ব্বনাশ যে আর নেই, সে বোঝবার তোমার সাধ্য নেই! কিন্তু, জিজ্ঞাসা করি, এ কলঙ্ক রটিয়ে তোমার লাভ কি?” বেণী ভীত হইয়া বলিল,—“আমার লাভ কি হবে! লোকে যদি তোমাকে রমেশের বাড়ী থেকে ভোরবেলা বা’র হতে দেখে—আমি কর্ব কি?” রমা সে কথায় কর্ণপাত না করিয়া, বলিতে লাগিল,—“এত লোকের সাম্নে আমি আর বলতে চাইনে। কিন্তু, তুমি মনে কোরো না বড়দা’, তোমার মনের ভাব আমি টের পাইনি! কিন্তু, এ নিশ্চয় জেনো, আমি মর্বার আগে তোমাকেও জ্যান্ত রেখে যাবো না।” আচার্য্য-গৃহিণী এতক্ষণ নিঃশব্দে নিকটে কোথাও দাঁড়াইয়াছিলেন; সরিয়া আসিয়া রমার একটা বাহু ধরিয়া ঘোমটার ভিতর হইতে মৃদুস্বরে বলিলেন,—“পাগল