পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

❖ኳቈ *ींहूर्छांडूव्र । আইন করিয়া আমাদিগকে পদস্থ করিয়া গিয়াছিলেন। সেই দিন' ত্ৰিভুবনে আমাদের বিজয়-হন্দুভি শ্রুতিগোচর হইয়াছিল ; স্বৰ্গ মর্ত্য রসাত্তল তন্ত্রকম্পিত হইয়াছিল, বাবুরা পৰ্য্যস্ত আমাদিগকে চিনিয়ছিলেন। আমাদের সে গৌরব কে বিলুপ্ত করিল ? আমাদের সে দিনের কে অস্ত করিয়া দিল ? এ প্রাণ আর কেমন করিয়া রাখিব ? ও হে! কি হইল ? ( ৩ । অঙ্কবর্ষণ । ) ন আইনের বলে আমরা সাহেবের বজহদয় কঁপাইয়া দিয়াছিলাম। ন-আইনের কৃপায় আমরা জগৎজয়ী ইংরেজের অস্তরে ভয়ের সঞ্চার করিতে পারিয়াছিলাম। বিনা অস্ত্রে, বিনা শস্ত্রে, নিৰ্ব্বান্ধব যে আমরা—আমরাও রাজ্যে বিদ্রোহ করাইতে, রাজবিপ্লব ঘটাইতে, লোকের চালে চালে স্বাধীনতার ধ্বজ উড়াইতে, আমাদের চিরশত্রু বাবুগণেরও মাথা মুড়াইতে সক্ষম হইয়াছিলায । এত গুণের ন-আইন আমাদের কে হরিয়া নিল ? ( ৪ । দস্ত ঘর্ষণ । ) যে দিন হইতে আমাদের ন-আইনের ডক্ষা বাজিাছিল, সেই দিল্প হইতেই আমরা কত উন্নতই হইয়াছিলাম ! আমাদের উপর কত চক্ষুই পড়িয়াছিল ! মাতৃভাষা যাহাদের পক্ষে কুকুরদষ্ট ব্যক্তির জলস্বরূপ আতঙ্ক উৎপাদক, এমন কত কত বাবুও আমাদের নাম করিয়া, চীৎকারে গগন ফাটাইয়া বাগীর যশোলাভ করিয়াছিল । যাহারা বাঙ্গলার ব জানে না, এমন কত প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড সাহেব, বর্ষে বর্ষে কত বিজ্ঞাপনীই আমাদের নামে লিখিয়া অমরত্ব লাভ করিতেছিল। মহামহামৰি-সম্প্রদায় গভীর রজনীতে গুপ্ত গৃহেয় দ্বার রুদ্ধ করিয়া আমাদের জন্ত কত মন্ত্রণাই করিতেছিল। কিন্তু হায় অম্ভ ! অস্ত আমরা কোথায়? কাল আমরা বীর ছিলাম, সিংহের সমকক্ষ ছিলাম, আজ সেই আমরা কাপুরুষ, শৃগালেরও অষ্ণু ՎNաթ কি আবার ভেকের পদাঘাত সহ করিতে হইবে! এখন কি আবার