পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এক দফা—শি গুপালন । '&oet • * অথ “মিত্রবদীচরেং” । ( এটা পঞ্চানন্দের । ) V ননীগোপাল মানুষ হইল বটে, কিন্তু তাহার মনে লড় ভাবনা হইল। এখন করি কি ? যাই কোথায় ? খাই কি ? এই সকল ভাবনায় ননীগোপালের মন তোলপাড় করিতে লুগিল। গৌরমোহন আঢ্যের স্কুলে ছেলেদের প্রাইজ হইতেছিল ; ছোট লাট অনুগ্রহ করিয়া, কষ্ট স্বীকার করিয়া, স্বয়ং সেইখানে উপস্থিত হইয়া স্বহস্তে প্রাইজের বইগুলি বিতরণ করিতেছিলেন। মনীগোপাল ব্যাপার দেখিতে গিয়াছিল ; বালকদের উৎসাহ-অগ্রহ-অtশ-মাখা মুখ দেখিয ননীগোপালের চক্ষের জল অতিকষ্টেই চক্ষে রহিল ; সুবিধা, সময় বা স্থান পাইলে সে জল একবার অনর্গল পড়িভ, তাঙ্গর আর ভুল নাই। তাহার পরে সাড়ে ছয় কোট লোকের রাজ, লক্ষ টাকার চাকরে, চিড়িয়াখানার প্রতিবাসী ছোট লাট সাহেব দাড়াইয। উঠিয়া অন্তান্ত দশ কথার পর গুঢ়স্বরে বলিলেন— “লেখা পড়া ত সকলেই শিখিতেছে ; এখন এ দেশের বড় মানুষের ছেলেদের, ভদ্রলোকের ছেলেদের দশ যে কি হইবে, তাহাই আসল ভাবনার কথা হইয়া দাড়াইয়াছে।” কথা শুনিয়া ননীগোপাল একটু কান্দিল, না কান্দিয়া আর থাকিতে পারিল না ; সেই সঙ্গে সঙ্গেই ননীগোপাল একটু হাসিল, হাসি ; আপন আপনি আসিল বলিয়া হাসিল । ননীগোপাল চমৎকার অন্নচিন্তার দায়ে সকলই করিতে সম্মত, কিন্তু তাহার শরীর তাদৃশ পটু নহে ; ওকালতি করিবার চেষ্টা করিয়াছিল, কিন্তু সেখানে কাহারও বিদ্যা খাটে না, বিদ্যাতে কুলায়ও না, চাকরির চেষ্টা করিয়াছিল, যোটে নাই, যাহা যুটিয়াছিল, তাহা না যোটারই মধ্যে, কারণ তাহাতে মান সন্ত্রম দূরে থাকুক, গ্রাসাচ্ছাদন নির্বাহ হওয়া স্থঙ্কর।