পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

} or *ींहूठेॉकूब्र । বৈষম্য সকল অনর্থের মূল। এই জন্ত বঙ্গপন্থী অবতার স্বীকার করেন না। যদি স্বীকার করি, যে মধ্যে মধ্যে একজন বা দশজন অমান্ধব শক্তি লইয়া জগতে অবতীর্ণ হন, তাহা হইলে বৈষম্যবাদের প্রশ্ৰয় দেওয়া হয়। বঙ্গপন্থীর মতে র্তাহারা সকলেই অবতার, সমকার্ধ্যে সমধরাতলে অবতীর্ণ হইয়াছেন। বঙ্গপন্থী বেদ বাইবেল কোরাণ পুরাণ বিছুই মানেন না ; গ্রন্থবৈষম্য র্তাহাদের পন্থায় নাই। সেই জন্ত বর্ণপরিচয় হইতে বেদান্তদর্শন পর্য্যং সকল পুঁথিই তাহার দৃষ্টিভে সমান। তৃতীয়তঃ অৰ্চনা, বন্দন, পূজা প্রেয়ার তাহারা সকলই বৃথা বলেন। আমি ভক্ত, তুমি ভগবান এ কথা ঘোর বৈষম্যমূলক এ মেহতভাবের প্রশ্রয়দাতা বঙ্গপন্থী নহেন, সুতরাং তিনি অর্চন বন্দনায় নাই। চতুর্থত; বঙ্গপন্থী জানেন, পাপ পুণ্য—মিথ্যা , বঙ্গপন্থীর নবদর্শনকার, ইহা শ্লাঘার সহিত স্বীকার করিয়াছেন, এববঙ্গপন্থীর কার্য্য কলাপে প্রত্যহই এই সাম্যবাদের পরিচয় পাওয়া যায়। বঙ্গপন্থী বিবেচনা করেন, “মনুষ্যের ব্যক্তিগত স্বতন্ত্রতা আপন৷ হইতে ক্রমে ঘুচিবে । ধূমকণার স্বতন্ত্রত ঘুচিয়া সমুদ্র হইয়াছে, মনুয্যের ব্যক্তিগত স্বতন্ত্রতা গেলে সেইরূপ কি একটা হইবে।” এই নরসাগর জমায়েতের পূৰ্ব্বে দেশে মহাদেশে, গ্রামে নগরে, পল্পীতে,পল্লীতে, ভবনে, অঙ্গনে, প্রকোষ্ঠে, খটায় যে নরনারীরূপ আকৃতির, প্রকৃতিগত বৈষম্য দৃষ্ট হয় তাহ বুচিয়া যাইবে, গিয়া কি একটা হইবে। যত দিন তাহা না হইতেছে, ততদিন বঙ্গপন্থীর মতে, জগতের ভরসা নাই, নরসাগরস্থষ্টির সুযোগ নাই। স্ত্রী পুরুষের বৈষম্যই সকল অনর্থের মূল। সাৰ্ব্বজনিক, সাৰ্ব্ব দেশিক, সাৰ্ব্বকালিক। হিন্দু মুসলমানের ভেদ, পৃথিবীর একদেশব্যাপী ; ব্ৰাহ্মণ শূদ্র ভেঙ্গ এখন কেৰল কলারব্যাপী, ধনী, নির্ধনের