মূলে কুঠারাঘাত। ') সংস্কার স্বচন । এই বিষম বৈষম্য একটা মহান অনিষ্টকর ব্যভিচার ; বঙ্গপন্থী ইহার সংস্কার করিবার অযত্ন চেষ্টা করিতেছেন। এই সংস্কারের সংস্কারক নাই। এবারকার কে চৈতন্তদেব, জিজ্ঞাসা করিলে কোন উত্তর নাই। কোন পরামর্শ নাই, যত্ন নাই, উদ্যোগ নাই, অথচ সংস্কার আরম্ভ হইয়াছে । ধৰ্ম্মযাজন নাই, ধৰ্ম্মপ্রচারক নাই, কোন গ্রন্থ নাই, ( ব্যতীত এই পঞ্চানন্দ ) তথচ চরি দিকে ইহার কার্য্য হইতেছে। ம்ே কাৰ্য্য নানাবিধ। প্রথম, ঈশ্বর পরিবর্ভুলে । ব্রহ্ম ব্রহ্মণী উঠাষ্ট্য। দিয়, শিব তুর্গ তুলিয় দিয়, পুরুষ প্রকৃতির ভেদ ভুলিয় গিয়া স্ত্রীপুংভাবের বৈষম্য-চ্ছেদ করণার্থ প্রথমেই বঙ্গপন্থী ক্লীব ব্রহ্মের সবতারণা করেন । স্নেহ মায়! থাকিলে স্ত্রীতু আইসে, কাৰ্য্যকারিত। থাকিলে পুস্থ আটসে, কাজেই ঈশ্বর নিগুণ, নিদাম, নিরাকার জড় उ;ुङ | কিন্তু এখন আর তাইতে ও কুলীয় না । বৈষম্যের এমনই অত্যচার যে, এহেন ঈশ্বরকে ও লোকে পিত, কেচ’পিক্তার পিতা, কেহ খুড়ার দাদ, বলিতে ছাড়িল না। সেন সামী ইঙ্গর এক অপূৰ্ব্ব উপায় উদ্ভাবন করিয়াছেন । তিনি এমন ঈশ্বরকে জননী, স্বর্গাদপি বলিতে আরম্ভ করিয়াছেন। অচিরাং পিতরে, পাৰ্ব্বতীপরমেশ্বরে বলিবেন ; ভাঙ্গ হইলেই ঈশ্বরত্বে জাতিগত বৈষম্যের বিনাশ ; সাম্য যোগের জয়জয়কার । Q দ্বিতীয়ত: নাম করণে সেই সাম্য যোগ । কামিনী সেন, নিত, দিনী মুনসি যামিনী গুপ্ত, ভামিনী দাস, বলিলে এখন আর কোনরূপ আকৃতিগত বৈষম্য স্থচিত হয় না। রজনী গুপ্ত, নর কি নারী, কেহ দুর হইতে নির্ণয় করিতে পারে না। で
