পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোরাচাদ । 文》° ললেন—“যাও! তোমার রান্না ঘরে যাও —কৰ্ত্তব্য পালন আগে, প্রাম কি আমোদ, তার পর । রুট হয়েছে ?—হয় নাই; ডাল হয়েছে ?—হয় নাই; চচ্চড়ি হয়েছে ? হয় নাই; মাছ ভাজা হয়েছে ? হয় নাই!—আমি জানি, নিশ্চয় জানি, এ সব কিছুই হয় নাই। তবু তুমি কাজ ফেলে, আমার কাছে আমোদ করতে এলে! ছিঃ! ছি। ” মাকে সঙ্গোধন করিয়া এই পৰ্য্যস্ত, আপন-আপনি খুব স্পষ্ট স্পষ্ট করিয়া বলিলেন—“ মা মনুে করে, যে মা হ'লেই বুঝি সাত খুন মায । এই এলুম একটা কাজ করে, কোথায় হটাে মিষ্টি মুখের কথা শুনে মন তুষ্ট করব, পরিশ্রমের অবসাদ বিনাশ করব, না বুড়ী এসে সুমুখে দাড়ালেন । এদের কি বিবেচনার লেশ মাত্র নাই ?” • ম) থতমত, ভীত সঙ্কুচিত। বলিলেন—“না বাবা, এই বোমাপ্ত অসুখ করেছে, তাই বলতে এলুম, বলি যদি কারুকে ডাকৃতে টীকৃতে হয়, তা হ’লে—“ “ত হ’লে তোমার সাত গুঠির পিণ্ডি, আর আমার বাবার মাধ। ‘তা হ’লে’ আবার কি ?—যাও, যাও, বিরক্ত করে না ।” “আহা পরের জন্তে বাছার আমার আহার নিদ্রে নাই! খেটে খুটে এয়েছে —” বিড় বিড় করিয়া এইরূপ বলিতে বলিতে গেরি .. চাদের মা, কর্তব্য পালনের স্থান রন্ধনশালায় পলায়ন করিলেন । তখন গোরাচাদ আবার পূর্বভাব অবলম্বন করিয়া, cপ্রয়সীর হাতে ধরিয়া, একটু উৎকণ্ঠ, একটু আগ্রহের স্বরে বলিলেন—“অমুখ হয়েছে ? কি অসুখ, বসন ? তোমার আমুখ করেছে ? তোমার ?” বসন উত্তর দিতে বিলম্ব করিল' গোরাচা বসনের হাতে ধরিয়া বসনকে টানিয়া ঘরের ভিতর লইয়া গেলেম; খাটের উপর বসনকে সবলে উপবেশন করাইলেন। " ৰত্নমতীর ধৈৰ্য্যের বাঁধ ভাঙ্গিয়া গেল, নম্বন-নদের পঙ্কিল জলে