পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাচুঠাকুর । مناهجهة কপোল-ভূমি ভাসিয়া গেল ! “তোমার বসীর কি হয়েছে, তা কি তুমি জানো না?” স্বল্পভাষিণী বসুমতী প্রত্যেক শব্দের পর এক এক দীর্ঘশ্বাস, অথবা কণ্ঠরোধস্বচক অব্যক্ত ধ্বনি সহকারে কয়েকট শব্দ প্রয়োগ করিয়া ক্ষান্ত হইল। গোরাচাঁদ মাথার টুপি খুলিতে ছিলেন, খোলা হইল না, টুপির সঙ্গে হাতের যোড় লাগিয়া গেল। “আমি ত জানি না যে তোমার কোন অসুখ করেছে। তোমার অসুখ জানলে কি আমি এমনি স্থির, হয়ে থাকবার লোক ? তোমার জন্ত আমি নদীর জল, গাছের পাত, আকাশের নক্ষত্র তন্ত্র ভন্ন করে তোলপাড় করতে পারি, স্বৰ্গ মৰ্ত্তা আন্দোলিত করতে পারি —আর, আমার সেই বসনের, আমার হৃদয়ের বসীর, আমার সেই তোমার অসুখ জেনেও আমি হিমাচলের মত শীতল, আচলভাবে বসে থাকুব, এও তোমার বিশ্বাস হয় ? ” বসুমতী দেখিলেন বেগতিক; এখন এই যে প্রণয়-সরোবরের লঙ্গরীলীলা দেখিয়া তিনি মুখানুভব করিবেন, এমন অবস্থা প্তাহার নয় । কাজে কাজেই আর বাক্যাড়ম্বরের দিকে না গিয়া সাদা কথায় বলিয়া উঠিলেন—“আজ বুঝি আমার ছেলে হবে। একটু একটু ব্যথা উঠেছে।” গোরাচাদ। “এই বুঝি অসুখ ?” বসুমতী । দত্তদের বাড়ীর মেয়েদের কথা শুনে অবধি আমার আরও ভয় হচ্চে। ওমা! তা হলে আমি কি করব ?” বসুমতী আবার কাদিয়া ফেলিল। দত্তদের বাড়ীর মেয়ের ভয় দেখাইয়াছে, তাহদের বিরুদ্ধে সৰ্ব্বাগ্রে পুলিশে খবর দেওয়া উচিত কি না, ৰমুমতীর ব্যথা উঠিয়াছে, ভাক্তারকে প্রথমেই ডাকিয়া আন উচিত কি না ; ষে জঙ্গ, যে স্ত্রী পুরুষের সাম্য-সংস্থাপন জন্ত জীবন উৎসর্গ করিয়াছেন, সেই ব্ৰত সার্থক কারবার এই সুযোগে কাজ