পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У о পাচুঠাকুর। হাজার বাবের স্থাই করিয়া রাখিয়া গিয়াছেন । সুতরাং আমারও অন্নপ্রাশনাদি হইয়াছিল, এ কথা লিখিয়া এই জীবনী দীর্ঘাকৃতি করা অম্মদাদির অনুচিত । যথাক্রমে আমি পাঠশালায় প্রেরিত হইলাম ; শুভক্ষণে আমার হাতে খড়ি পড়িল। গুরু বিদ্যাবীজ ভূমিতে অঙ্কিত করিলেন, আমি মৃত্তিক খনন এবং হলচালন অভ্যাস করিতে লাগিলাম গুরুর পর শুরু গেল, ক—এর ত্রিসীমার পর অণকড়ি পর্য্যন্ত আমার আদায় হইল। এইরূপে দিন দিন শশিকলার স্তায় আমার বিদ্যার ষোড়শ বা চতুঃষষ্টি কলা বৃদ্ধি পাইতে লাগিল। যাহা হউক ক্রমে ক্রমে আমি বিদ্যার পারে গেলাম। তখন আমার বয়ঃক্রম সপ্তদশ বৎসর মাত্র । একবার মাত্র আমি পরীক্ষা দিয়াছিলাম, আমার বিদ্যাশিক্ষা এবং বুদ্ধিবৃত্তির পরিচয় তাহাতেই হইয়াছিল ; অতএব সেই বিবরণ লিপিবদ্ধ হইতেছে। গ্রামে একটী গবর্ণমেণ্ট-সাহায্যকৃত বঙ্গবিদ্যালয় হইয়াছিল ; প্রথম প্রথম অনেকগুলি বালক পড়িতে যাইত। পণ্ডিত মহাশয়ের তাহাতে বড়ই প্রতাপ বৃদ্ধি হইল ; পড়ে অপড়ে সব ছেলেকেই তিনি লালচক্ষু দেখাইতেন । আমি একাধিপত্যের বিরোধী, সুতরাং পণ্ডিতের প্রতিদ্বন্দ্বী হইয়া দাঁড়াইলাম। তাহার প্রতাপ টুটিল, বালকের বিদ্যালয় যাওয়া বন্ধ করিল। _! ইনস্পেক্টার একদিন সংবাদ পঠাইলেন যে, পর দিবস তিনি পঞ্জিদর্শনে আসিবেন । পণ্ডিত ব্যতিব্যস্ত, আসিয়া আমার খোষামোদ যুড়িলেন। সেই রাত্রিতে আমার যাত্রার দলের গান হইবে ; আমি দুতী সাজিবার জন্ত গোফ কামাইয়া প্রশ্নত ; ছেলেরা বালক সুজিবে,