পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

G) a পাচুঠাকুর। ব্যাধিমন্দির শরীর, (ঘ) রোগ শোক-পরিভাপ—বন্ধন—ব্যসনসঙ্কুল জীবন, (ঙ) সহায়হীনের ত্বৰ্গতি, (চ) লোক সকল পাপমতি, (ছ) কাষ্য গণ্ডা ফেলিয়া দিতে সাধারণের মনে হয় ক্ষতি। এই সাত পদার্থ সময়ের কোদণ্ড’ অর্থাৎ ষড়রিপু” * । এতগুলি এড়ইয়া কি সময়ের মান রাখা সম্ভব ? অনেক কথা বলা গেল, আরও বিস্তর কথা বলা যাইতে পারে, কিন্তু পাঠকবৃন্দের বুদ্ধিকে, খোরাক দিবার জন্ত আর একটী মাত্র কথার উল্লেখ করিয়াই আমরা ক্ষাস্ত হইব। সমালোচনে পঞ্চানন্দ অদ্বিতীয় ; উচিত কথা উচিত মত বলিতে পঞ্চানন কখনই সঙ্কুচিত হন না। ষোলো আনার জায়গায় বরং আঠারে আন—কম কিছুতেই না । অধিক কি, পঞ্চানন্দ আপনাকেই ছাড়েন না। আপনার নিন্দা না করিয়া যে কেরল প্রশংসাই করেন, তাহাতে বিশেষ ক্ষতিবৃদ্ধি নাই, তিনি যে নাছোড়বন্দ, তাহাতেই তাঙ্গকে ধন্থবাদ প্রদান করিতেছি । সমালোচম !

  • }

বড় হুঃখ হইয়াছে, আর কিছু ভালো লাগে না, নহিলে সমালোচনায় সমালোচনায় দেশ শুদ্ধ বিব্রত করিয়ঃ তুলিতাম। সমালোচন করিব কি, দুঃখেই ম্ৰিয়মাণ হইয় রছিয়াছ এবং “দেবের মরণ নাই তাই বেঁচে আছি।” ইঃখ ল করিয়া রাগ করিলেই এ বিড়ম্বন আর সহ করিতে হয় না, কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, রাগ করিবার যে নাই। কারণ পঞ্চানন্দ রাগ করিলে, রক্ষা করিবে কে ? • “বড়রিপু হলো কোল্পওস্বরূপ।” —জাগুৰীয় ।