পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চানদের বক্তৃত৷ ১ –বক্তৃতার হেতুবাদ । ঐযুক্ত মিষ্টর লালমোহন বাবু বিলাতে গিয়া ভারি এক তরঙ্গ তুলিয়া আসিয়াছেন। অনেকের বিশ্বাস হইয়াছে যে, আজি হউক, কালি হউক, আর দশ দিন পরেই হউক, ভারতবর্ষের বিলক্ষণ একটা উপকার না হইয়া যায় না। আপাততঃ বিলাতী বক্তৃতাতে ভারতবর্ষের নাম খুব বেশি বেশি হইতেছে, ইহাই এক উপকার! ভারতবর্ষের কথা লইয়া একটা আন্দোলন হইলে, সৌভাগ্য ৰলিতে হইবে, তাহাতে আর সন্দেহ নাই। “ভারতবর্ষের জন্ত ইংলণ্ড কি করিয়াছেন," এই কথাকে খুয়া ধরিয়া ইন্টার সাহেব খুব বকবিকি করিয়াছেন; ইহার উতোর দিবার জন্ত আর এক সাহেব— “ভারতবর্ষের ঘাড়ে ইংলণ্ড কি চাপাইয়াছেন” এই প্রসঙ্গ করিয়া অনেক লেখ-লেখি করিয়াছেন । ইহাই ত যথেষ্ট সৌভাগ্য বলা যাইতে পারে ; কিন্তু যখন কপাল ফলে, তখন জলে প্রদীপ জলে— সৌভাগ্যের শেষ ঐখানেই না হইয়া পঞ্চানন্দের ঘাড়েও বক্তৃতার ভূত চাপিয়াছে। সেই জন্যই সকল বক্তৃতার সার যে বক্তৃতা, তাহার সার নিয়ে সুবিস্তস্ত হইতেছে — ভারতের জন্ত ইংলণ্ড কি কঢ়িয়াছেন ? কি করিয়াছেন, তাহা বলাবাহুল্য, কেন না বলা নিম্প্রয়োজন। দেখিয়া হউক, ঠেকিয়া হউক, অস্তের নিকট শিখিয়াই বা হউক, কি করিয়াছেন, তাহা সকলেই টের পাইতেছেন, কিংবা পাইয়াছেন। তবে এ প্রশ্ন কেন ?