পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জের বস্তৃত স্বীকার করাই উচিত। তাহাতে সে অসভ্য মুখ আমাকে কতকগুলা কটু-কাটব্য বলিয়া শেষে চীৎকার করিয়া উঠিল—কাবুল পরাধীন হইতে পারে, কিন্তু তাই বলিয়া কাবুলী কখনও হইবে না, যেমন মূর্থ তেমনি শাস্তি ; পাষণ্ডের ফাঁসি হইল। এইরূপে ফাসি দেখিতেছিলাম, আমোদ করিতেছিলাম এবং বিশ্বস্থালাপ করিতেছিলাম, এমন সময়ে সহস একৰুি রবার্ট সাহেব আমাকে বলিলেন যে, আমাদিগকে ঘেরাও করিতেছে, চলে আমরা এখান হইতে পলাইয়া যাই। “যে আজ্ঞা" বলিয়া আমি আগে আগে দৌড়িলাম ; তাহার পর শেরপুরে আসিয়া আবার আমরা জমায়েতবস্ত হইয়া বসিয়া রহিয়াছি। বাহিরের খবর কিছুমাত্র জানি না। রবার্ট সাহেবের সঙ্গে কথাবার্তায় দিন যাপন করিতেছি, সেই কথাবাৰ্ত্তার সার মৰ্ম্ম লিথিয়া এ পত্রের উপসংহার করিতেছি। যদি ফিরিয়া না যাই কিম্বা আর পত্র লিখিতে না পাই, তবে অনুগ্রহপূর্বক গৃহিণীর হাতের শাখা খাডু আপনি খুলিয়া দিবেন, এবং আমার শালগ্রামের সেবার ভার লর্ড লিটনের উপর দিবেন, এই আমার অমুরোধ । 疊 আমাদের শেরপুরে ঘেরাও হইবার দিন, দুঃখ প্রকাশ করিয়া দীর্ঘ নিশ্বাস ছাড়িয়া রবার্ট সাহেব আমাকে বলিলেন,—দেখো তুমি যেমন উপযুক্ত লোক অন্ত কাগজের সংবাদ-লেখকেরা যদি তেমনি হইত, তবে আমার ভাবনা কি ? ভাহারা যুদ্ধের কিছুই, ৰোঝে ন, কিছুই জানে না। অথচ আমাকে বিব্রত করিয়া রাখিয়াছে। অর্থাৎ তাহাদিগকে বাচাইবার জন্তু আমাকে যুদ্ধ ছাড়িয়াও ব্যস্ত থাকিতে হয়। তাহারা এখানে না থাকিলে, এই যে আমরা বন্দী অবস্থায় আছি বলিলেই হয়, ভারতবর্ষে আদাই সংৰাদ যাইত যে, সমস্ত কাবুলীকে ধ্বংস করিয়া আমরা জয় লাভ করিয়াছি। এই জম্ভ