পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ψ89 পাচুঠাকুর। সংবাদদাতাদের সম্বন্ধে এমন নিয়ম করা আবগুক, যাহাতে তাহারা বুদ্ধক্ষেত্রে না আসিতে পারে। আমি দেখিলাম, কথা যথার্থ। আর একদিন রবার্ট সাহেব বলিলেন—দেখে, কাবুলের যুদ্ধ অধৰ্ম্মসদ্ভূত বলিয়া অনেকে অনুযোগ করিতেছে, কিন্তু ইহা বড় অল্পায়। খ্ৰীষ্টিয়ান ধৰ্ম্মই সত্যধৰ্ম্ম ; সুতরাং ইহার প্রচার আবগুক, এ দিকে ধর্মের প্রতি সহজে কাহারও অম্বুরাগ হয় না। এমত স্থানে বুদ্ধ ভিন্ন নিরুপদ্রবে খ্ৰীষ্টয়ান ধৰ্ম্ম কিরূপে এখানে আনা যাইতে পারে? আমি বলিলাম—তাহার আর সন্দেহ কি ? বিশেষত যীশু নজুয্যের জন্তপ্রাণ দিয়াছিলেন ; এখন তাহার জন্ত মন্থয্যের প্রাণ লওয়াতে কোনও দোষ হইতে পারে না ; অধিকন্তু অর্থনীতির নিয়মমুসারে মুদ লওয়া পাপ নহে, সুতরাং প্রাণের শোধ প্রাণ, তাহার উপর সুদ, ইহাতে দোষেরত কিছুই দেখি না। আরও এক কারণে খ্ৰীষ্টধর্শ্বের অনুরোধে যুদ্ধ করা আবগুক, মুসলমানের এক হাতে কোরণ, অম্ভ হাতে তরওয়াল লইয়া যায়, যাহার বেলা যেমন, সেই মত না করিলে চলিবে কেন ? অন্যথা, অপরের ধৰ্ম্মে যে হস্তক্ষেপ করা হইবে। আমার কিছু উন্নতি করিয়া দিবেন বলিয়া এই দিন সাহেব আমাকে আশ্বাস দিলেন ; কিন্তু ফাসি মনে পড়াতে আমার ইতিপূহ একেবারেই লোপ পাইয়াছে। সাহেবকে বলিলাম, আপনার অনুগ্রহই যথেষ্ট, উন্নতির প্রয়োজন নাই। তবে কপালে হকিঙ্গে আমিও বদ্ধ করিতে পারিব না ; আপনাকেও এত আগ্রহ করিতে হইবে না। সাহেবকে আমি জিজ্ঞাসা করি যে, এ যুদ্ধে প্রয়োজন কি ? গৰে বলিলেন—লর্ড লিটন দেশে কাব্য লিখিয়া কাব্যের বিষয়