পাতা:পাঁচু-ঠাকুর - ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাবুলস্থ সংবাদদাতার পত্র (৩) ༤དེ་e ༈༽ তাহাতেই সৰ্ব্বনাশ। দোহাই ধর্শ্বের, আমি ইহার কিছুই জানি না, সাতাশী জন লোককে ফাসি দেওয়া হইয়াছে বলিলেও আমার খন্তি, সাত শ ফাঁসি হইয়াছে, তাহাতেও স্বস্তি, মোটে হয় নাই, তাও স্বস্তি । ভগবান রক্ষা করিয়াছেন ; কোনও পত্রেই অঁাকর্ষোকের কথা লিখিয় ফেলি নাই। তবে বুক ঠুকিয়৷ এই ফাসির, সন্ধ দ্ধে এক কথা আমি বলিতে পারি ; র্যাহীদের ফাসি হইয়াছে, ইংরেজ যদি এ যাত্রা কাবুলে শুভাগমন না করিতেন, তাহা হইলেও সে লোক কটার ফঁাসি হইত। নিতান্ত পক্ষে ফাসি না হইলেও তাহারা গলায় দড়ি দিয ও মরিত । যাহার যাহা কপালে লেখা আছে, তাহা ঘাটবেই ঘাটবে ; মানুষ কেবল নিমিত্তের ভাগী । সমস্ত নিয়ত, আর কিছুই নয়, নিয়ত। তবে আর অভ্যাচারের কথা ওঠে কিসে, তাই ত বুঝিতে পারি না। যুদ্ধ হইতেছে, সে নিয়তের লেখা, টকি, খরচ হইতেছে নিয়তের লেখা, লোক মরিতেছে নিয়তের লেখা , ইঙ্গ যে না মানে, সে নেহাত আরাহ্মণ—সে থিরিষ্টান । তৃতীয়তঃ, শর্করকন্দ—( রাঙ্গ আলুকেও শর্করকন্দ বলে, এ তাই নয় জায়গার নাম )—রেলওয়ে প্রভত ; সুতরাং এখন আর কাবুলে থাকিবার প্রয়োজন নাই, থাকাটা যুক্তিসিদ্ধও নয়। প্রয়োজন নাই, কেন না, আপনার যখন ইচ্ছা হইবে তখনই এই রেলওয়ের কল্যাণে লোকগাড়ীতে হউক, মালগাড়ীতে হউক, ডাকগাড়ীতে হউক, আমাকে বস্তাবন্ধী করিয়া আবার চালান দিতে পরিবেন, আমিও সঙ্গে সঙ্গে ফেরত গাড়ীতে খবর পাঠাইতে পারিব। কাবুলে থাকা যুক্তিসিদ্ধ নয়, কারণ লিটন বাহাদুর পরমেশ্বরকে সাক্ষী করিয়া বলিয়াছেন যে, রুষিয়া অগ্রসর হইয়া আসিতেছে ; তিনি রুষিয়ার নাম করেন নাই বটে ;