পাতা:পাঠমালা - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩০
সর উইলিয়ম হর্শেল

ণ্ডেশ্বর এই অভিপ্রায়ে তাহার বার্ষিক ত্রিসহস্র মুদ্রা বৃত্তি নির্ধারিত করিয়া দিলেন যে, তিনি বাখ নগরীর কর্ম পরিত্যাগ করিয়া নিশ্চিন্তমনে বিদ্যানুশীলনে রত থাকিতে পারিবেন। হশেল তদনুসারে ঐ কর্ম্ম পরিত্যাগ করিয়া উইণ্ডসর সন্নিহিত সোনামক স্থানে অবস্থিতি নিরূপণ করিলেন। অতঃপর তিনি অননকৰ্মা ও অনন্যমনা হইয়া কেবল পদার্থ বিদ্যার অনুশীলনেই বত হইলেন। বাস্তৰিকও, ক্রমাগত দূরবীক্ষণ নির্মাণ ও নভোম মণ্ডলী পর্যবেক্ষণ দ্বারাই জীবনের শেষ ভাগ যাপন করিয়াছিলেন।

 ইতি পূর্ব্বে নূতন গ্রহের যে আবিঞ্চুিয়ার বিষয় উল্লিখিত হইল তিনি তদ্বতিরিক্ত মানাবিধ মহোপকারক অভিনব আবিফিয়া ও অতর্কিতচর বহুতর নিপুণ প্রগাঢ় কল্পনা দ্বারা জ্যোতি র্ব্বিদ্যার বিশিষ্টরূপ বুদ্ধি সম্পাদন করিয়াছেন। তিনি পূর্ব পূৰ্ব অপেক্ষায় অধিকায়ত ও অধিকশক্তিক দূরবীক্ষণ নির্মাণ বিষয়ে কতিপয় মোপকারিণী সুবিধা প্রদর্শন করিয়া গিয়াছেন। তিনি স্লো নামক স্থানে, ইংলণ্ডেশ্বরের নিমিত্ত যে দূরবীক্ষণ প্রস্তুত করেন তাহাই সর্ব্বাপেক্ষায় বৃহৎ। ১৭৮৫ খৃঃ অব্দের শেষে তিনি এই অতিবৃহৎ দূরবীক্ষণ নিৰ্মাণ করিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন। পরে, ১৭৮৯ খৃঃ অব্দে ২৭ এ আগষ্ট, এক সন্ত্রাপরি সন্নিবেশিত হইয়া ব্যবহারযোগ্য হয়। ঐ বস্তু অতিশয় জটিল বটে; কিন্তু প্রগাঢ়তরবুদ্ধিকৌশলে সম্পাদিত। উহা দ্বারা ঐ দুরবীক্ষণের সঞ্চালনাদি ক্রিয়া নিয়মিত হইত। শনৈশ্চরের ষষ্ঠ পারিপার্শ্বিক বলিয়া যাহাকে সকলে অনুমান কৱিত, সন্নিবেশ দিবসেই সেই দূরবীক্ষণ দ্বারা তাহা উদ্ভাবিত হইল। কিয়দিনানস্তর ঐতদ দ্বারা শনৈশ্চরের সপ্তম পারিপার্শ্বিকও আবিষ্কত হয়। এক্ষণে উহা স্বস্থান হইতে অপসারিত হইয়াছে এবং