পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

] পাতঞ্জল দর্শন । [ পা ২। সূ ৪৬। .• من سلالا স্থিত অর্থাৎ সরল ভাবে উপবিষ্ট ব্যক্তির এক পাদ ভূমিতে বিন্যাস ও একপাদ আকুঞ্চিত জামুর উপরি বিন্যাস করার নাম বীরসেন। পদতলদ্বয় বৃষণ অর্থাৎ কোষদ্বয়ের সমীপে সন্পুট করিয়া করকচ্ছপিক (কচ্ছপের আকারে করদ্বয় ) প্রদান করিলে ভদ্রাসন হয়। বামপদ আকুঞ্চিত করিয়া দক্ষিণ জঙ্ঘা ও উরুর উপর বিন্যাস এবং দক্ষিণ চরণ আকুঞ্চিত করিয়া বাম জঙ্ঘা ও উরুর উপর বিদ্যাস করিলে স্বস্তিকাসন হয। পাদ দ্বয়ের অঙ্গুলি ও গুলফ (গোড়) পরস্পর মিলিত করিয়া এরূপে শয়ন করবে যাহাতে জঙ্ঘা উরু ও পাদ ভূমিপৃষ্ট হয় ইহাকে দণ্ডাসন বলে। যোগপট্টক অর্থাৎ “চৌগান” নামে বিখ্যাত কাষ্ঠনিৰ্ম্মিত যন্ত্রবিশেষ (যাহাকে কক্ষে স্থাপন করিয়া উদাসীনগণ উপবেশন করিয়া থাকেন ) আশ্রয় করিয়া উপবেশন করার নাম সোপাত্ৰয়। জামুর উপর বাহু প্রসারণ করিয়া শয়ন করার নাম পর্যাঙ্কাসন । ক্রৌঞ্চ, ( কুঁচিবক ) হস্তী ও উষ্ট্রের উপবেশন দর্শন করিয়া যথাক্রমে ক্ৰৌঞ্চনিষদন, হস্তিনিষদন ও উষ্ট্রনিষদন অবগত হইবে। পার্ষি ও পাদাগ্র দ্বারা আকুঞ্চিত উভয়ের পরস্পর পীড়ন করাকে সমসংস্থান বলে। যেভাবে উপবেশন করিলে অক্লেশে স্থৈর্যাসম্পন্ন হয় তাহাকে স্থিরমুখ বা যথামুখ বলা যায় ( ইহাই স্বত্রকারের অভিপ্রেত ও যোগের অঙ্গ ), আদিশব্দে মায়ূরাসন গারুড়াসন প্রভৃতি জানিবে ॥ ৪৬ ॥ মন্তব্য। শয়ন করিয়া থাকিলে নিদ্রা আসে, অন্তভাবে থাকিলে শরীরধারণেই ব্যস্ত থাকিতে হয়, এবং অধিককাল থাকা যায় না, এই নিমিত্ত আসনের উপদেশ হইয়াছে, যেভাবে অধিককাল থাকিলেও কোনওরূপ কষ্ট হয় না সেইটাই স্থিরমুখ আসন, উহার নিয়ম কিছুই নাই। আসন কত, প্রকার হইতে পারে তাহার সংখ্যা নাই, জগতের এক একটা ক্রিয়া দেখিয়া এক একটা আসনের স্বষ্টি হইয়াছে, হস্তিনিষদন প্রভৃতি দেখিয়াই শিখিতে হয়। আসনের বিশেষ বিবরণ যোগপ্রদীপ প্রভৃতি গ্রন্থে আছে। গুরুর উপদেশ ব্যতিরেকে নিজে নিজে আসন শিক্ষা হয় না, তাহাতে বিপরীত ফুল হইয়া থাকে, অতি উৎকট ব্যাধিগ্রস্ত হইতে হয়। আসন সমুদায় তশিক্ষা করিবার সময় কষ্টকর বোধ হয়, একবার সুন্দরব্ধপে অভ্যস্ত হইলে আর বিষয়ের না, যে পৰ্য্যন্ত বিনা ক্লেশে আসনে উপবিষ্ট হওয়া যায় ততদূর অভ্যাস