পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/২৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩২ পাতঞ্জল দর্শন। [পা ৩। সূ ১৭ । ] এইরূপে পদার্থ বিশেষে সঙ্কেত বিশিষ্ট বর্ণ সকলের ধ্বনিরূপ ক্রম অর্থাৎ পৌৰ্ব্বাপৰ্য্য উপসংহৃত হইলে চিত্তপটে যাহা একরূপে প্রতীয়মান হয় তাহাকেই বিষয়ের (বাচ্যের ) বাচক পদ বলা যায়। অতএব একবুদ্ধির বিষয় একটা পদ একপ্রযত্ন দ্বারা উচ্চারিত হয়, উহা ভাগ (অংশ) রহিত, সুতরাং উহাতে ক্রম নাই, যদিচ বর্ণ সকল উহার অংশ বলিয়া প্রতীতি হওয়ায় ক্রমেরও সম্ভাবনা আছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তাহু নহে, বর্ণ সকল পদের ভাগ নহে, উহা সংস্কার বশতঃ কল্পনামাত্র yপদ, বৌদ্ধ অর্থাৎ পূৰ্ব্বোক্ত তৃতীয় বাচক পদ কেবল বুদ্ধিতেই এক বলিয়া ভাসমান হয় /শেষ বর্ণের শ্রবণ হইলে সংস্কার হয়, ঐ সংস্কার পূর্ব পূৰ্ব্ব বর্ণের সংস্কার সহিত মিলিত হইয়া একপদ বলিয়া বুঝাইয়া দেয় Yবিষয়ের প্রতিপাদন (বোধন ) নিমিত্ত বক্তা কর্তৃক উচ্চারিত, শ্রোতা কর্তৃক শ্রত বর্ণ সমুদায় দ্বারা অনাদিকাল হইতে অভ্যস্ত বাক্ ব্যবহার হয়, অর্থাৎ পদোচ্চারণ সংস্কার সহকারে লোকের বুদ্ধিতে বাস্তবিকরূপে প্রতীয়মান হয়। যদিচ স্বভাবতঃ পদের অংশ নাই, তথাপি সাধারণ লোকের সঙ্কেত-বুদ্ধি অনুসারে বর্ণ সকলই পদের বিভাগরূপে প্রতীয়মান হয় ; সেই বিভাগ এইরূপ, এই কয়েকট বর্ণের (গ, ঔ, ; ) এইরূপ পৌৰ্ব্বাপৰ্য্য বিশেষ এক-বুদ্ধিতে প্রতিফলিত হইয়া একটা পদার্থের বাচক হয়, যেমন গকার, ঔকার ও বিসর্গ এই তিনটা বর্ণ অব্যবধানে ক্রমশঃ উচ্চারিত হইয়া বুদ্ধিতে একরূপে প্রতীত হইলে গোরূপ একটী অর্থের বাচক হয়। “যেটা শব্দ সেইটী অর্থ,” “যেটা অর্থ সেইটী শব্দ” এইরূপে স্মৃতিপটে অঙ্কিত পদ ও পদার্থের পরম্পর অধ্যাস অর্থাৎ একে অপরের অভেদ আরোপকে সঙ্কেত বলা যায়। এইরূপে শব্দ, অর্থ ও জ্ঞান পরস্পরে অভেদ অধ্যাস হয় বলিয়া সঙ্কীর্ণ হয় L “গেীঃ” এইটা যখন শব্দের তাৎপর্ঘ্যে প্রযুক্ত হয়, তখন অর্থ ও জ্ঞান ইহাতে সংশ্লিষ্ট থাকে। এইরূপে অর্থের তাৎপর্য্যে প্রয়োগকালে শব্দ ও জ্ঞানের এবং জ্ঞানের তাৎপর্য্যে প্রয়োগ কালে শব্দ ও অর্থের সঙ্কর থাকে। ষে ব্যক্তি উক্ত সঙ্কর নিরাস পূৰ্ব্বক অসঙ্কীর্ণরূপে শব্দ, অর্থ ও জ্ঞানের তত্ব বুঝিতে পারে, সেই ব্যক্তি সমস্ত প্রাণীর শব্দ (কি বলিতেছে তাহ) বুঝিতে পারে, তাহাকে সৰ্ব্ববিৎ বলা য়ায় । - 榭 ..যেমন পদের আরোপিত ভাগম্বরূপ বর্ণসমুদ্ৰায়ের সমষ্টি একত্বরূপে প্রতীত