পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У о পাতঞ্জল দর্শন । [ পা ১ । সূ২। ] বলিয়া থাকে। সৰ্ব্বশদের প্রবেশ করিলে লক্ষ্যে (সম্প্রজ্ঞাত সমাধিতে) লক্ষণ যায় না, না করিলেও অলক্ষ্যে (ক্ষিপ্তাদি অবস্থায় ) লক্ষণ যায় বলিয়া অতিব্যাপ্তি দোষ । - স্বত্রকার ও ভাষ্যকারের অভিপ্রায়ানুসারে ইহার সমাধান দুই রকমে হইতে পারে। “তদা দ্রষ্টু স্বরূপেহবস্থানং” এই অগ্রিম স্বত্রের সহিত এই হুত্রের একবাক্যত (একত্রে অর্থ) করিা "দ্রষ্টু স্বরূপাবস্থিতিহেতুশ্চিত্তবৃত্তিনিরোধে যোগঃ” অর্থাৎ যে চিত্তবৃত্তিনিরোধট দ্রষ্টার (আত্মার ) স্বরূপে অবস্থানের কারণ হয়, তাহাকে যোগ কহে। ক্ষিপ্তাদি অবস্থায় চিত্তবৃত্তিনিরোধ সকল ওরূপ নহে, উহাতে আত্মার স্বরূপে অবস্থান হয় না। সম্প্রজ্ঞা৩ অবস্থায় সাত্বিকবৃত্তি থাকে বলিয়া আত্মার স্বরূপে অবস্থান না হইলেও অসম্প্রজ্ঞাত অবস্থায় হইয়া থাকে। সম্প্রজ্ঞাত হইতেই অসম্প্রজ্ঞাতের উৎপত্তি হয়। সুতরাং সম্প্রজ্ঞাত সমাধি আত্মার স্বরূপাবস্থানের হেতু। কেহ বা “ক্ষীণোতি চ ক্লেশান” এই প্রথম স্বত্র ভাষ্যের অভিপ্রায় মতে “ক্লেশকৰ্ম্মাদিপরিপন্থী চিত্তবৃত্তিনিরোধো যোগঃ” অর্থাৎ যেরূপ চিত্তবৃত্তিনিরোধ ক্লেশকৰ্ম্মাদির বিনাশক হয় তাহাকে যোগ বলে। এ পক্ষেও বুখানাবস্থায় যোগের লক্ষণ যাইবে না, সম্প্রজ্ঞাতাবস্থায় যাইবে । একই চিত্তের কিরূপে ক্ষিপ্তাদি পঞ্চ ভূমি সম্বন্ধ হয়, তাহ দেখাইবার নিমিত্ত ভাষ্যে চিত্তের প্রখ্যাপ্রবৃত্তিস্থিতিরূপ যথাক্রমে সত্বরজস্তমঃ স্বভাব বলা হইয়াছে। চিত্ত ত্রিগুণাত্মক না হইলে তাহাতে প্রখ্যাদি ধৰ্ম্মের সম্ভাবনা থাকিত না, কারণের গুণই কার্য্যে সংক্রমিত হয়। প্রখ্যাশব্দে প্রসাদলাঘব প্রতি প্রভৃতি সমস্ত সাত্বিকধৰ্ম্ম, প্রবৃত্তিশব্দে পরিতাপ শোক প্রভৃতি সমস্ত রাজসধৰ্ম্ম ও স্থিতিশব্দে গৌরব আবরণ প্রভৃতি সমস্ত তামসধৰ্ম্ম গৃহীত হইবে। চিত্ত, গুণত্রয়ের কার্য্য বলিয়া উল্লিখিত সমস্ত ধৰ্ম্মই তাহাতে আছে। ভাষ্যের চিত্তসত্বের নাম চিত্তাকারে পরিণত সত্ব । চিত্ত গুণত্রয়ের কার্য্য হইলেও প্রধানতঃ সত্বের উল্লেখ করা হইয়াছে। চিত্ত হইতে পুরুষকে (আত্মাকে ) ভিন্নরূপে জ্ঞানই একমাত্র মুক্তির কারণ, কোনও একটা বস্তু হইতে অপর বস্তুকে ভিন্ন ভাবে বুঝাইতে হইলে, অঞ্জ উভয়ের গুণ ও দোষৰূপ ধৰ্ম্মগুলি পৃথক পৃথক রূপে উল্লেখ করা