পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/২৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬২ • পাতঞ্জল দর্শন। [পা ৩। সু৪১ । ] মধ্যে এক জন (যে বধির নহে ) শব্দ গ্রহণ করিতে পারে, অপর জন (বধির) পারে না, অতএব শ্রোত্র ইন্দ্রিয় দ্বারাই শব্দের জ্ঞান হয়। ষে যোগী শ্রোত্র ও আকাশের সম্বন্ধে সংযম করিয়াছেন তাহার দিব্য অর্থাৎ স্বক্ষ, ব্যবহিত ও দূরবর্তী শব্দগ্রহণে সমর্থ শ্রোত্র হয়। ৪১ ৷ মন্তব্য। পূৰ্ব্বে স্বার্থ সংযমের প্রাসঙ্গিক, ফল দিব্য শ্রোত্রাদি লাভ বলা হইয়াছে, সম্প্রতি শ্রবণাদি পদার্থে সংযুrমর ফল তত্তদিন্দ্রিয়ের উৎকর্ষ লাভ বলা হইল। ইন্দ্রিয় সমুদায় সাত্বিক অহঙ্কার হইতে উৎপন্ন হইলেও কর্ণশঙ্কুলী ( কর্ণের মধ্যে সূক্ষ্ম চৰ্ম্ম ) অবচ্ছিন্ন আকাশের ভাগকে শ্রোত্রের আশ্রয় বলা যায়, কারণ উক্ত নভোভাগের উপচয় ও অপচয়ে শ্রোত্রের উপচয় ও অপচয় হইয়া থাকে, দ্যায়, বৈশেষিক ও বেদান্ত মতে ইন্দ্রিয় সকল ভৌতিক অর্থাৎ ক্ষিত্যাদি পঞ্চভূতের সাত্বিক অংশ হইতে উৎপন্ন, সাংখ্য পাতঞ্জল মতে ইন্দ্রিয়গণ অহঙ্কার হইতে উৎপন্ন, এই বিরোধেরও খণ্ডন বুঝিতে হইবে, অর্থাৎ ভূত সকলের উৎকর্ষ অপকর্ষে ইন্দ্রিয়ের উৎকর্ষপকর্ষ হয় বলিয়া ইন্দ্রিয়গণকে ভৌতিক বলা হইয়া থাকে। চুম্বকে লৌহ আকর্ষণের স্তায় বক্তার মুখে উচ্চারিত শৰ শ্রোতৃবর্গের শ্রোত্র সকল বৃত্তিপরম্পর দ্বারা আকর্ষণ করিয়া বিষয়দেশে লইয়া যায়, এই কারণেই অমুক দিকে অমুক স্থানে শব্দ হইতেছে ইহার জ্ঞান হয়। স্তায়শাস্ত্র মতে শ্রোত্র-ইন্দ্রিয় শব্দের উৎপত্তি স্থানে গমন করে না, শব্দই ৰীচি তরঙ্গ অথবা কদম্ব কোরক দ্যায়ে শ্রোত্রদেশে গমন করে, এই মতে অমুক স্থানে শব্দ হইতেছে ইহার জ্ঞান হইতে পারে না, অতএব চক্ষুর স্তায় শব্দও বৃত্তি দ্বার, শব্দোৎপত্তি স্থানে গমন করে স্বীকার করিতে হইবে। অনাবরণ ধৰ্ম্মট আকাশ নামক অতিরিক্ত ভাব পদার্থের, অভাব মাত্রই একটা ভাব পদার্থে আশ্রিত, ওরূপ বিশ্বব্যাপক অনাবরণের আশ্রয় সৰ্ব্বব্যাপী আকাশ ভিন্ন আর কে হইবে ? ব্যাপক চিতি শক্তিকেও উহার আশ্রয় বলা যায় না, কারণ তাহার পরিণাম নাই, সুতরাং অবচ্ছেদে অর্থাৎ দেশবিশেষে আশ্রয় হয় না। উক্ত অনাবরণ স্বীকার না করিলে জগতের সমুদায় পদার্থ মিলিত হইয়া একটা পিণ্ডাকার হইয়া যাইত, বিশ্বের বিকাশ হইতে পারিত