পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/২৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२१० - পাতঞ্জল দশন । [* ७ । नू १८ ।] ভূমাবুস্মজ্জতি নিমজ্জতি যথোদকে, বশিত্বং ভূতভৌতিকেষু বশীভবতি অবশ্যশ্চান্তেষাং, ঈশিত্বং তেষাম্প্রভাপ্যয়বুহানামীষ্টে, যত্রকামাবসায়িত্বং সত্যসঙ্কল্পত, যথা সঙ্কল্পস্তথাভূতপ্রকৃতীনামবস্থানং, নচ শক্তোইপি পদার্থবিপৰ্য্যাসং করোতি, কস্মাৎ, অন্যস্ত যত্রকামাবসায়িনঃ পূৰ্ব্বসিদ্ধস্ত তথা ভূতেষু সঙ্কল্পাদিতি, এতান্তষ্টাবৈশ্বৰ্য্যাণি। কায়সম্পং বক্ষ্যমাণ। তদ্ধৰ্ম্মভিঘাতশ্চ পৃথ্বী মূর্ত্যা ন নিরুণদ্ধি যোগিনঃ শরীরাদি ক্রিয়াং, শিলামপ্যমুপ্রবিশর্তীতি, নাপঃ স্নিগ্ধাঃ ক্লেদয়ন্তি, নাগ্নিরুষ্ণোদহতি, ন বায়ুঃ প্রণামী বহতি, অনাবরণাত্মকেই প্যাকাশে ভবত্যাবৃতকায়, সিদ্ধানামপ্যদৃশ্যে ভবতি ॥ ৪৫ ৷ অনুবাদ। স্থূল হইয়াও অতিস্থল্ম হওয়ার শক্তিকে অণিমা বলে, গুরু হইয়াও কাশতৃণের ন্যায় অতি লঘু হওয়ার শক্তিকে লঘিমা বলে, অতিক্ষুদ্র হইয়াও হস্তিপৰ্ব্বতাদি বৃহদাকার ধারণ করা শক্তির নাম মহিম। যে শক্তি দ্বারা ভূমিতে থাকিয়াও অঙ্গুলির অগ্রভাগ দ্বারা চন্দ্র স্পর্শ করা যায় তাহাকে প্রাপ্তি ঐশ্বৰ্য্য বলে। প্রাকাম্য শব্দের অর্থ ইচ্ছার অনভিঘাত (বাধা না হওয়া ), , ইহাতে জলের ন্তায় ভূমিতে উন্মজন নিমজ্জন করিতে পারে। বশিত্ব শব্দের অর্থ স্বয়ং অপরের বশীভূত না হইয়া পৃথিবী প্রভৃতি ভূত ও গো ঘটাদি ভৌতিক পদার্থের বশী (নিয়ামক ) হয়, অর্থাৎ আপন ইচ্ছায় ভূত-ভৌতিক সকল পদার্থকে অবস্থাপন করিতে পারে। ঈশিত্ব ঐশ্বৰ্য্য দ্বারা ভূত-ভৌতিকগণের উৎপত্তি-বিনাশ ও অবয়ব-সংস্থান অনায়াসেই করিতে পারা যায়, কারণ, মূলপ্রকৃতি জয় হইলে প্রকৃতির কার্য্য অন্ত সমস্তেই স্বতন্ত্রতা জন্মে। যত্র-কামাবসায়িত্বের অর্থ সত্যসঙ্কল্প অর্থাৎ তাদৃশ যোগিগণ যেরূপ नकई করেন সেই ভাবেই ভূতপ্রকৃতিগণ অবস্থিত থাকে। উক্তভাবে সিদ্ধ যোগী সমর্থ হইয়াও পদার্থের বৈপরীত্য অর্থাৎ একটকে আর একটী (চন্দ্রকে স্বৰ্য্য করা ইত্যাদি ) করিতে পারেন না, কেবল পদার্থের শক্তির অন্তর্থী করিতে পারেন, কারণ পদার্থের নিয়ম বিষয়ে আর একজন পূৰ্ব্বসিদ্ধ (ঈশ্বর) ধত্র-কামাবসায়ী যোগীর সঙ্কল্প আছে, অর্থাৎ ঈশ্বরের সঙ্কল্প বশতঃ জগতের মৰ্য্যাদা স্থির আছে, তাহার বিপরীত করা অপর যোগীর সাধ্য নহে, দেশকাল