পাতা:পাতঞ্জল দর্শন.djvu/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8b" পাতঞ্জল দর্শন । [ পা ১ । সু ১৯ ] পরিণাম গৌণমুক্তি অতিবাহিত করেন । এইরূপে প্রকৃতিতে লীন ব্যক্তির স্বকীয় সাধিকার (পুনৰ্ব্বার কার্য্য করিবে এরূপ) চিত্ত প্রকৃতিতে লয়প্রাং হইলে যেন মুক্তিপদ অনুভব করিতে থাকেন, যে কাল পর্য্যন্ত অধিকার বশত: ( চিত্তের সমস্ত কাৰ্য্য শেষ হয় নাই বলিয়া) চিত্ত পুনৰ্ব্বার আবৃত্ত না হয়। ১৯। মন্তব্য। চতুৰ্বিংশতি জড়তত্বের উপাসকগণই বিদেহ ও প্রকৃতিল বলিয়া অভিহিত হইয়াছে। কেবল বিকার অর্থাৎ পঞ্চমহাভূত ও একাদশ ইন্দ্রিয় এই ষোড়শ পদার্থের কোনও একটকে আত্মা বলিয়া উপাসনা করিয় যাহারা সিদ্ধিলাভ করেন র্তাহাদিগকে বিদেহ বলা যায়। প্রকৃতি শব্দে কেবল প্রকৃতি অর্থাৎ মূলপ্রকৃতি (প্রধান ) ও প্রকৃতিবিকৃতি অর্থাৎ মহৎ, অহঙ্কার ও পঞ্চতন্মাত্র বুঝিতে হইবে। উক্ত ভূত, ইন্দ্রিয় ও প্রকৃতির উপাসকগণ সিদ্ধিলাভ করিয়া মুক্তের ন্যায় অবস্থান করেন। ভাষ্যের কৈবল্য শব্দে নিৰ্ব্বাণমুক্তি বুঝাইবে না, গৌণমুক্তি সাযুজ্য, সালোক্য ও সারূপ্য বুঝাইবে। ইহাদের স্থূলদেহ নাই, চিত্তের বৃত্তি নাই, এইট মুক্তির সাদৃশু। সংস্কার আছে, চিত্তের অধিকার আছে, এইট মুক্তির বৈরাগ্য অর্থাৎ বন্ধন, এই নিমিত্তই ভান্যে “কৈবল্য পদং ইব” ইব শব্দের প্রয়োগ আছে, ইব শব্দে কোনও রূপে ভেদ এবং কোনও রূপে অভেদ বুঝায়। ভোগ ও অপবর্গ এই দুইটী চিত্তের অধিকার, আত্মতত্ব সাক্ষাৎকার হইলেই অপৰৰ্গ হয়, সুতরাং যত দিন না চিত্ত আত্মতত্বসাক্ষাৎকার করিতে পারে, ততদিন ষে অবস্থায়ই কেন থাকুক না অবশুই তাহার ফিরিয়া আসিতে হইবে। বিদেহ বা প্রকৃতিলয়দিগের মুক্তিকে স্বর্গবিশেষ বলিলেও চলে, কেন : উহা হইতেও প্রচু্যতি আছে, তবে কালের নুনাতিরেক মাত্র, স্বর্গ কাল হইতে অধিক কাল সাযুজ্যাদি মুক্তি থাকে, এবং আত্মজ্ঞান লাভ করিয়া নিৰ্ব্বাণ। লাভেরও সম্ভাবনা আছে, যতই কেন হউক না উক্ত সমস্তই অজ্ঞানমূলক অর্থাৎ অনাত্মাকে আত্মা বলিয়া জানা উহার সর্বত্রই আছে, এই নিমিত্ত ,ভগবান শঙ্করাচাৰ্য্য উক্ত গৌণমুক্তির প্রতি আস্থা প্রদর্শন করেন নাই। বিদেহাদির মুক্তিকাল বায়ুপুরাণে উক্ত আছে — · দশমন্বন্তরানীহ তিষ্ঠন্তীন্দ্ৰিয়চিন্তকাঃ । ভৌতিকাস্ত শতং পূর্ণং সহস্রং ত্বাভিমানিকাঃ ।